CPIM: জয়নগরে সুজন-পুলিশ ‘কুস্তি’, এবার ঘরছাড়া বাম সমর্থকরাও তেড়ে এলেন

জয়নগরে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের পর এক অভিযুক্তকে গণপিটুনিতে মেরে ফেলা হয় সোমবার। বামনগাছিতে এমন ঘটনার পর উঠে আসছে তৃ়ণমূলের গোষ্ঠীবাজি। অভিযোগ, খুনের ঘটনাকে…

জয়নগরে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের পর এক অভিযুক্তকে গণপিটুনিতে মেরে ফেলা হয় সোমবার। বামনগাছিতে এমন ঘটনার পর উঠে আসছে তৃ়ণমূলের গোষ্ঠীবাজি। অভিযোগ, খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বেছে বেছে হামলা চালিয়েছে বাম সমর্থকদের বাড়িতে। মঙ্গলবার এলাকায় যেতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে বাম নেতারা। সিপিআইএম নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর সাথে পুলিশের কুস্তি হলো।

৪৮ ঘণ্টা ঘর ছাড়া দলুয়াখাকি গ্রামের সাধারণ বাম সমর্থকরা। বামনগাছিতে তৃ়ণমূল নেতা খুনের পর দলুয়াখাকি গ্রামে বাম সমর্থকরা আক্রান্ত হন। অনেকেই ঘরছাড়া হন। তাদের নিজেদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সুজন চক্রবর্তীর ধস্তাধস্তি কার্যত ‘কুস্তি’ হয়ে গেল।

সোমবার জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের পর, জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বহু সিপিআইএম কর্মীদের বাড়ি। ৪৮ ঘন্টা বাড়িছাড়া গ্রামের বহু মানুষ। আজ সিপিআইএম দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী সহ অন্যান্য সদস্যরা তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেন।

এলাকার মহিলাদের অভিযোগ, কোনও মহিলা পুলিশ ছাড়াই পুরুষ পুলিশরা মহিলাদের উপর হামলা করে। তাদের হাতের চুরি ভেঙে দেয়। রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি করাও শুরু হয়। ছোট ছোট বাচ্চাদের রেখে বাড়ি ছাড়া সাধারণ মানুষ। তারা আরো অভিযোগ করেছে যে কাল যখন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ঠিক সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল রাজ্য পুলিশ। তবে তারা ছিল একেবারে নিশ্চুপ, দুষ্কৃতীদের একবারের জন্যও আটকায়নি এই পুলিশ দল।