একের পর এক দুর্নীতিতে নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের নেতাদের। তাই তৃণমূলের সঙ্গে নয়, বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন৷ এমনটাই স্পষ্ট করলেন বীরভূমের বগটুইয়ের (Bogtui-Birbhum) স্বজনহারা মিহিলাল শেখরা (Mihir Lal Shekh)। রবিবার তাঁদের বাড়িতে মন কি বাত শোনালেন বিজেপি নেতারা৷ যাতে চিন্তা বাড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ তাই আবার বীরভূমে গিয়ে নিজে রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চান তৃণমূল সুপ্রিমো।
গত বছরের ২১ মার্চ ভাদু শেখের মৃত্যুর পর বগটুইয়ে পরপর একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করে ক্ষতিপূরণ ও চাকরির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত এক বছরে বদলে গেছে বীরভূমের রাজনৈতিক মানচিত্র। একবছর পর তৃণমূল বিধায়ক আশীস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢুকতে বাধা দেয় স্বজনহারাদের পরিবার৷ বরং শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদেরকে৷
পরে অবশ্য এটা নিয়ে আক্ষেপ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ওদের জন্য কি করিনি। রবিবার মিহিলাল স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, আমি বিজেপিতেই এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। এই সরকার যে রোজ রোজ এত দুর্নীতি বেরোচ্ছে, আমি তার পাশে নেই।পাল্টা সুর তৃণমূলের গলাতেও। বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, চাকরি নিতে পারে, সুযোগ নিতে পারে, এবার যদি এরকম করে কী বলার থাকতে পারে।
তবে কী মিহিলালদের ক্ষোভের কারণেই সংখ্যালঘু ভোট হারাতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? শোনা যাচ্ছে, বীরভূম নিয়ে বৈঠকে কাজল শেখকে এবিষয়ে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি৷ অনুব্রত মণ্ডল সহ অন্যান্যদের ন একাধিক অভিযোগের তালিকায় থাকার কারণেই এই বিপদ দেখা দিয়েছে। যা আগামী দিনে আরও বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে ঘাসফুল শিবিরকে।