সমস্ত দুর্নীতির উৎস হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, তিন TMC বিধায়কের নাম জড়াতেই আক্রমণে বিকাশরঞ্জন

প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর পর এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তিন বিধায়কের৷ অভিযোগ…

CPIM leader Bikasharanjan Bhattacharya claims CM involved in Bengal teacher recruitment corruption case

প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর পর এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তিন বিধায়কের৷ অভিযোগ লেটারপ্যাডে লিখে নিয়োগ সুপারিশ করতেন এই বিধায়করা৷ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে জমা পড়েছে সেটি৷ এ বিষয়ে সরব হলেন সিপিআইএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)।

কলকাতা ২৪x৭ কে তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলছি গোটা নিয়োগ প্রথাটাই দুর্নীতির পক্ষে৷ লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে৷ সেজন্যই তো ওরা এত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর আতঙ্কের কথা শুনছেন কেন? চুরিটা এত তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে যাবে সেটা উনি বুঝতে পারেননি৷ যত তদন্তের গতিপ্রকৃতি এগোবে, তত আরও ঘটনা বের হবে৷ গোটা প্রক্রিয়াটা দুর্নীতিগ্রস্ত৷ দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত৷

এই সংক্রান্ত খবর: বামদের ‘চিরকুটে চাকরি’কে দশ গোল তিন TMC বিধায়কের, চাকরি হারাবেন শতাধিক

বিকাশরঞ্জন আরও বলেন, সমস্ত দুর্নীতির উৎস হচ্ছেন বর্তমান যিনি মুখ্যমন্ত্রী। দুর্নীতি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই ক্ষনিতায় এসেছেন৷ ক্ষমতায় এসে প্রশাসনকে ব্যবহার করছেন৷ রাজ্যের কোষাগারকে ব্যবহার করছেন৷ গোটা সমাজটাকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলার জন্য৷ এটা তো পরিষ্কার যদি দুর্নীতি ঠিকমতো হয়, তাহলে বিষয়টা আরও স্বচ্ছ হবে৷ আর এটা মাকড়সার জালের মতো ব্যাপার নয়, একেবারে সরাসরি৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে তদন্ত ঠিকমতো হচ্ছে না। এখন বিষয়টাকে চেপে ধরা হয়েছে৷ তদন্ত করলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে৷

সিপিআইএমের রাজ্যসভার সাংসদের দাবি, রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটিকে যদি শুদ্ধ করতে হয়, দুর্নীতিহীন করতে হয়, তাহলে ভোট দেওয়ার সময় ভাবতে হবে৷ এই সব লোকেদের আমরা কেন ভোট দেব? এই প্রক্রিয়া যেদিন চালু হবে সেদিন সৎ স্বচ্ছ মানুষ নির্বাচিত হবেন।

একইসঙ্গে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিকাশবাবু বলেন, “ও তো পাগল”! এটা তাঁদের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার প্রয়োজন মনে করছেন না তিনি৷ যারা বঞ্চিত, চাকরি পাননি, তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু করছেন না। তিনি জানিয়েছেন, যারা বঞ্চিত,তাঁদের অধিকার নিয়ে আদালতে মামলা করার থাকলে করব৷ যারা বঞ্চিত তারাই নিজেদের কথা বলবেন৷ আমি আদালতে বলব৷