বিরাট ভাঙন বিজেপিতে, ১৫ পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে

ভোটের রেজাল্ট বেরোতেই বিজেপিতে (BJP) ভাঙন শুরু হয়েছে। বাংলায় গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবির পর দল ছাড়ছেন শয়ে শয়ে নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সমানতালে রক্তক্ষরণ চলছে গেরুয়া…

coochbehar-15-panchayat-members-left-bjp-and-joined-trinamool-congress

ভোটের রেজাল্ট বেরোতেই বিজেপিতে (BJP) ভাঙন শুরু হয়েছে। বাংলায় গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবির পর দল ছাড়ছেন শয়ে শয়ে নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সমানতালে রক্তক্ষরণ চলছে গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি দুর্গ কোচবিহারের এবার ঘাসফুল ফুটিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া।

উত্তরের এই কোচবিহার থেকেই ভাঙন শুরু হয়েছে বিজেপির। শুক্রবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের ‘গড়’ বলে পরিচিত ভেটাগুড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ বিজেপির ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে সহজেই সেই পঞ্চায়েতের দখল নেয় তৃণমূল।

   

ভেটাগুড়ির পর ভাঙন ধরেছে বিজেপি শক্তি ঘাঁটি বলে পরিচিত মাতালহাট অঞ্চলে। দিনহাটা ১ ব্লকের মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মানবেন্দ্র বর্মন সহ ১৫ জন পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেন ও দিনহাটা ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র রায় তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন।

NDA ছাড়ছেন দুই সাংসদ? মোদীর শপথের আগে বিরাট চিন্তায় বিজেপি

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মানবেন্দ্র রায় বলেন, মানুষ তৃণমূলের প্রার্থীকে সদ্য লোকসভা নির্বাচনে জয়ী করায় এলাকার উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম। মাথাভাঙা ২ ব্লকের বিজেপি পরিচালিত পারডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পূর্ণিমা বর্মন সহ দুজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক তাঁদের দলের পতাকা দেন।

প্রসঙ্গত, কোচবিহার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্রবর্মা বসুনিয়ার কাছে পর্যদস্তু হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক। এই জয় যে ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে বিরাট অক্সিজেন দেবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দৌড়ে কারা? সামনে এল একাধিক নাম

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কোচবিহার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ ৭,৮৮,৩৮৫টি ভোট পেয়েছেন। আর বিজেপি নিশীথ পেয়েছেন ৭,৪৯,১২৫টি ভোট। ৩৯ হাজার ২৫০ নিশীথকে উড়িয়ে দিয়েছেন জোড়াফুলের প্রার্থী। এই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী নীতিশচন্দ্র রায়। প্রাপ্ত ভোট ৩০,২৬৭।

২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গে ৮টি লোকসভা আসনের সবকটিতেই জয় পায় বিরোধীরা। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মালদহ উত্তর, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাট কেন্দ্রে জেতেন বিজেপি প্রার্থীরা। আর মালদহ দক্ষিণ যায় কংগ্রেসের ঝুলিতে। এবারের নির্বাচনে একমাত্র কোচবিহারে ঘাসফুল ফুটেছে। বাকি ৭টি আসনে জিতেছেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা।

‘গত ১০ বছরে ১০০ টপকায়নি’, কংগ্রেসকে অল-আউট নিশানা মোদীর