Coochbehar: দিনহাটায় তৃণমূল ছাড়তেই হামলা, আক্রান্তরা হাসপাতালে

দুই কংগ্রেস কর্মীকে মারধর ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাতের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ১ ব্লকের ওকরাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রনারায়ণ এলাকায়। আহত কংগ্রেস…

tmc

দুই কংগ্রেস কর্মীকে মারধর ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাতের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ১ ব্লকের ওকরাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রনারায়ণ এলাকায়।

আহত কংগ্রেস প্রার্থী মুকুল রহমানের স্ত্রী শাবানা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, গতকাল রাতে তাদের বাড়িতে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের নিয়ে খাওয়া দাওয়া চলছিল। ঠিক সেই সময় আচমকা বেশ কয়েকজন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এসে তার স্বামী সহ এক কংগ্রেস কর্মীকে ধারণা অস্ত্র দিয়ে একের পর এক আঘাত করে। এর সঙ্গেই তাদের বাড়ি, গাড়ি ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে দুই কংগ্রেস প্রার্থী। পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

   

জানা গিয়েছে আহত ব্যক্তি মুকুল রহমান তৃণমূলের কর্মী ছিলেন কিন্তু এবার পঞ্চায়েত ভোটে তাকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি দল পরিবর্তন করে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে দাঁড়ান। সেই ক্ষোভেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে তাদের উপর একের পর এক হামলা চালায়।

গোটা অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা নুর আলম হোসেন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিনহাটা থানার পুলিশ।

তিস্তা তীর থেকে রায়মঙ্গলের তীর পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই তুলোধনা করেছেন। তাঁর নিশানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের সমালোচনা করছেন রাজ্যপালও বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারণ, তিনিই রাজীব সিনহার নামে শিলমোহর দেন।

আলোচনায় উঠে আসছে বিধামসভায় শূন্য বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোটের ভোট লড়াই। এই জোট এবং আইএসএফ একসাথে ভোটে নেমেছে। ভোটের আগে শাসকদল ও বিরোধীদল ছেড়ে বাম-কংগ্রেস জোটে সামিল হওয়ার প্রবণনতা বেশি। গত পুরভোটে রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের জোট ভোট প্রাপ্তির হারে মূলত বিরোধী শক্তির ভূমিকায় উঠে এসেছে। তাদের পক্ষে পঞ্চায়েত ভোটে সেই উত্থান ধরে রাখা যাবে কিনা তাও চর্চিত।

পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে মূল লড়াই কার? রাজনৈতিক মহলে এই আলোচনা তীব্র। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত পঞ্চায়েত ভোটের সাথে এবারের ভোটের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি কয়েকটি পকেট এলাকা ছাড়া গোটা রাজ্যে সাংগঠনিক দূর্বলতায় ভূগছে।

পঞ্চায়েত ভোটে শাসক ও বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতার রাজনৈতিক শক্তির পরিচয় স্পষ্ট হবে। তেমনই আছেন বিরোধীদের কয়েকজন দাপুটে নেতা। শাসক শিবির তৃণমূলের রথী মহারখীদের মধ্যে কাজল শেখ, উদয়ন গুহ, সাবিনা ইয়াসমিন, আরাবুল ইসলাম, শওকত মোল্লা, অখিল গিরি উল্লেখযোগ্য। বিরোধী পক্ষ শুভেন্দু অধিকারী (বিজেপি), দিলীপ ঘোষ (বিজেপি), নিশীথ প্রামানিক(বিজেপি), অধীর চৌধুরী (কংগ্রেস), সুশান্ত ঘোষ (সিপিআইএম), নওশাদ সিদ্দিকি (আইএসএফ), দেবলীনা হেমব্রম (সিপিআইএম) এর নাম বিশেষ উল্লেখ্য।