নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন না শুভেন্দু

নিজের বুথে ভোট দিয়ে ২০০ মিটারের মধ্যে থাকতে পারবেন শুভেন্দু৷ সিকিউরিটি ছাড়া ভোট দিতে যেতে হবে তাকে৷ নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে…

Suvendu Adhikari, the Leader of BJP in West Bengal

নিজের বুথে ভোট দিয়ে ২০০ মিটারের মধ্যে থাকতে পারবেন শুভেন্দু৷ সিকিউরিটি ছাড়া ভোট দিতে যেতে হবে তাকে৷ নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে ফোনের মাধ্যমে করবেন

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় যে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী আগামীকাল নন্দীগ্রামের বাইরে যেতে পারবেন না। তাঁর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ মামলার শুনানি হয় আজ বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।

   

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

শুভেন্দু যেখানকার ভোটার সেখানেই থাকতে হবে ভোটের দিন, এমনটাই নির্দেশ দেয় কমিশন। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে শুভেন্দু। বিচারপতি সিনহা বলেন যে নিজের এলাকা ছেড়ে যেতে পারবেন না শুভেন্দু। যেখানকার ভোটার সেখানেই ভোটের দিন থাকতে হবে বিরোধী দলনেতাকে। যেহেতু শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের ভোটার। তাই তাঁকে সেখানেই থাকতে হবে।

তিস্তা তীর থেকে রায়মঙ্গলের তীর পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই তুলোধনা করেছেন। তাঁর নিশানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের সমালোচনা করছেন রাজ্যপালও বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারণ, তিনিই রাজীব সিনহার নামে শিলমোহর দেন।

আলোচনায় উঠে আসছে বিধামসভায় শূন্য বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোটের ভোট লড়াই। এই জোট এবং আইএসএফ একসাথে ভোটে নেমেছে। ভোটের আগে শাসকদল ও বিরোধীদল ছেড়ে বাম-কংগ্রেস জোটে সামিল হওয়ার প্রবণনতা বেশি। গত পুরভোটে রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের জোট ভোট প্রাপ্তির হারে মূলত বিরোধী শক্তির ভূমিকায় উঠে এসেছে। তাদের পক্ষে পঞ্চায়েত ভোটে সেই উত্থান ধরে রাখা যাবে কিনা তাও চর্চিত।

পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে মূল লড়াই কার? রাজনৈতিক মহলে এই আলোচনা তীব্র। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত পঞ্চায়েত ভোটের সাথে এবারের ভোটের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি কয়েকটি পকেট এলাকা ছাড়া গোটা রাজ্যে সাংগঠনিক দূর্বলতায় ভূগছে।

পঞ্চায়েত ভোটে শাসক ও বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতার রাজনৈতিক শক্তির পরিচয় স্পষ্ট হবে। তেমনই আছেন বিরোধীদের কয়েকজন দাপুটে নেতা। শাসক শিবির তৃণমূলের রথী মহারখীদের মধ্যে কাজল শেখ, উদয়ন গুহ, সাবিনা ইয়াসমিন, আরাবুল ইসলাম, শওকত মোল্লা, অখিল গিরি উল্লেখযোগ্য। বিরোধী পক্ষ শুভেন্দু অধিকারী (বিজেপি), দিলীপ ঘোষ (বিজেপি), নিশীথ প্রামানিক(বিজেপি), অধীর চৌধুরী (কংগ্রেস), সুশান্ত ঘোষ (সিপিআইএম), নওশাদ সিদ্দিকি (আইএসএফ), দেবলীনা হেমব্রম (সিপিআইএম) এর নাম বিশেষ উল্লেখ্য।