Joynagar: তৃণমূল নেতা খুনের জেরে অগ্নিগর্ভ বামনগাছিতে বাম সমর্থকরা আক্রান্ত, CID তদন্ত

তৃ়ণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের রোষে গণপিটুনিতে এক জনের মৃত্যু ও বেছে বেছে বাম সমর্থকদের বাড়িকে হামলায় সোমবার থেকে অগ্নিগর্ভ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বামনগাছি। জয়নগরের…

তৃ়ণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের রোষে গণপিটুনিতে এক জনের মৃত্যু ও বেছে বেছে বাম সমর্থকদের বাড়িকে হামলায় সোমবার থেকে অগ্নিগর্ভ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বামনগাছি। জয়নগরের আরও কয়েকটি এলাকায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলে। মঙ্গলবার পুলিশের টহল চলেছে। থমথমে পরিস্থিতি। খুনের তদন্ত করতে নামল সিআইডি।

তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সাইফুদ্দিন লস্করকে খুন করে দেওয়া হয়েছিল আর তাতেই জ্বলে উঠেছিল গোটা গ্রাম। তান্ডবের পর বামনগাছি গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তবে রাতে বিদ্যুৎ ফিরে এসেছিল। যাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা তারা ধীরে ধীরে বাড়িতে ফিরছেন।  ইট দিয়ে ঘেরা রয়েছে মার্ডার স্পট। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।যারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত তাদের খুঁজে বের করতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে যাচ্ছে সিআইডি টিম। গতকাল এডিজি সাউথ বেঙ্গল নিজে এসে ছিলেন। তিনি বলেছেন বেশ কিছু মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। সেই মোবাইল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিআইডিকে হস্তান্তর করা হবে স্পটে পাওয়া জিনিস। তদন্ত করে দেখা হবে, মোবাইল ফোনগুলি কাদের তাদের সাথে কোন যোগ আছে কিনা। ঘটনার দিন এই মোবাইলটি থেকে কে  কাদের সাথে কথা বলেছিল বা সেই কললিস্ট খতিয়ে দেখবেন সিআইডি আধিকারিকরা।

গোটা ঘটনায় সিপিআইএম জড়িত বলে ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সওকত মোল্লা সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন ‘সিপিএম এবং বিজেপি আশ্রিত সমাজবিরোধীরা সইফুদ্দিনকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। এর মূল উদ্দেশ্য হল এটাই যে গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কারণ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়, তাদের পায়ের তলার মাটি নেই।’

সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, বগটুইতে যেমন তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনের পরও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল গ্রাম। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় শিশু-মহিলা সহ ১০ জনের। জয়নগরেও একইভাবে গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার ছক করেছিল তৃণমূল। অন্তর্দ্বন্দ্বে তৃণমূল নেতা খুন হওয়ায় দুষ্কৃতীদের বাঁচাতে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের নিশানা করেছে শাসক দল।