Attack on Gaza: গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে ঢুকল ইজরায়েলি সেনা

ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। ইজরায়েল হামাসের ওপর প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ইজরায়েল বড় ধরনের সাফল্য অর্জন…

ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। ইজরায়েল হামাসের ওপর প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ইজরায়েল বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজার পার্লামেন্ট হাউজ দখল করে নিয়েছে।তার ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে।

ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট দাবি করেছেন গাজা উপত্যকায় হামাসের পার্লামেন্ট হাউজের নিয়ন্ত্রণ এখন ইজরায়েলের হাতে । সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে ইজরায়েলি সৈন্যদের হাতে অস্ত্র ও ইজরায়েলি পতাকা নিয়ে পার্লামেন্টে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। সামনে খালি চেয়ার পড়ে থাকতে দেখা যায়। গাজা সিটির এই পার্লামেন্ট হাউজটি গত ১৬ বছর ধরে হামাসের দখলে ছিল।

‘গাজার নিয়ন্ত্রণ হারাল হামাস’

ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন, হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছে। হামাস গত ১৬ বছর ধরে গাজা দখল করে রেখেছে। কিন্তু ইজরায়েলি হামলার কারণে হামাস পরাজিত হয়েছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, হামাস জঙ্গিরা এখন তাদের জীবন বাঁচাতে দক্ষিণদিকে পালিয়ে যাচ্ছে। 

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ইজরায়েলি হামলায় হামাস তাদের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলো হারিয়েছে, যার কারণে গাজায় হামাসের ক্ষমতা কমে আসছে এবং গাজা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলছেন, পার্লামেন্ট হাউজ দখলের পর শিগগিরই পুরো গাজা ইজরায়েলের নিয়ন্ত্রণে আসবে। তিনি বলেন, পার্লামেন্ট হাউজ দখলের ফলে পুরো গাজা নিয়ন্ত্রণ করা ইজরায়েলের জন্য সহজ হবে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামাস আক্রমণের পর থেকে আকাশপথে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।হামাসের প্রধান ঘাঁটি গাজা স্ট্রিপই ইজরায়েলের প্রধান নিশানা হয়ে ওঠে। আইডিএফের লাগাতার হামলায় কার্যত নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে গাজার উত্তর অংশ। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ পরিষেবাও থাকছে না।দেখা গিয়েছে চরম মানবিক সংকট।