Chopra Attack: মাথায় বুকে গুলিবিদ্ধ একাধিক আশঙ্কাজনক, বাম-কংগ্রেস মিছিলে চোপড়া রক্তাক্ত

ইসলামপুর মহুকুমা হাসপাতালে আসছে একের পর এক গুলিবিদ্ধ দেহ। গাড়ি থেকে রক্তাক্তদের নামিয়ে আনছেন হাসপাতালের কর্মীরা। দেখা যাচ্ছে জখমদের মাথা ও বুকে গুলি লেগেছে। হাসপাতালের…

Chopra Attack

ইসলামপুর মহুকুমা হাসপাতালে আসছে একের পর এক গুলিবিদ্ধ দেহ। গাড়ি থেকে রক্তাক্তদের নামিয়ে আনছেন হাসপাতালের কর্মীরা। দেখা যাচ্ছে জখমদের মাথা ও বুকে গুলি লেগেছে। হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসার গেটের সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি। তবে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি চোপড়ায়। রাজপথের উপরেই এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয় বাম ও কংগ্রেসের মিছিলে। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে রক্তাক্ত উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া।

চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক জন নিহত। আরও কয়েকজন মারাত্মক জখম। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা।

জানা গিয়েছে গত কয়েকদিন মনোনয়ন জমা করতে না পেরে আজ শেষদিনে দলবেঁধে আসছিলেন বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীরা। চোপড়ার বিডিও দফতরের কিছু আগে তাদের মিছিলে হামলা হয়। পরপর গুলি চলে হামলাকারীরা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমানের অনুগামী বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ বিধায়কের নির্দেশে গুলি চলেছে।

গুলি চালানোর ঘটনায় পরিস্থিতি তীব্র আতঙ্কের। গুলি চালানো হয় চোপড়ার রাস্তায় মিছিল লক্ষ্য করে। রাজপথে পড়ে থাকেন একাধিক। পরে অন্যান্যরা আহতদের কাঁধে তুলে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের কাছে আনেন। জখমদের আনা হয় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে।

ওরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। এমনই দাবি করলেন চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমান। চোপড়ার পরিস্থিতি নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, এটা খুনি তৃণমূলের আক্রমণ। এর সূচনা আগেই হয়েছে। সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, সারা রাজ্যেই এই চেহারা। পুলিশের ভূূমিকা হল শাসকদলের পা চাটা।