Kaliyaganj: সন্তানের দেহ কেন ব্যাগে, রাজ্যকে রিপোর্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের

মৃত শিশুর দেহ নিজেদের ব্যবস্থায় বাড়ি নিয়ে যেতে কালিয়াগঞ্জের (kaliyaganj) বাসিন্দা অসীম দেবশর্মা যে ‘অপারগ’, সে সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Disturbing Discovery in kaliyaganj: Child's Body Found in Bag, Hospital Authorities Alert State

মৃত শিশুর দেহ নিজেদের ব্যবস্থায় বাড়ি নিয়ে যেতে কালিয়াগঞ্জের (kaliyaganj) বাসিন্দা অসীম দেবশর্মা যে ‘অপারগ’, সে সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই কথা জানলে মানবিকতার খাতিরে ওই শিশুটির দেহ তার বাড়িতে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করতেন। উত্তরবঙ্গের ঘটনা সম্পর্কে নবান্নে এই রিপোর্ট পাঠিয়েছেঅ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, শনিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ব্যাগে করে তাঁর মৃত পুত্রসন্তানের দেহ কালিয়াগঞ্জের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন বাবা অসীম। বিষয়টি নিয়ে রবিবার শোরগোল শুরু হয়। সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সুপারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। সোমবার বিকেলের মধ্যেই সেই রিপোর্ট কলকাতায় পাঠিয়ে দিয়েছেন সুপার সঞ্জয় মল্লিক।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঁর রিপোর্টে হাসপাতাল সুপার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, মৃত শিশুর পরিবার যে আর্থিক ভাবে সচ্ছল নয়, দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তাদের ছিল না, তা তাঁরা জানতেন না। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, হাসপাতালে ওয়ার্ড মাস্টারের অফিস, রোগী সহায়তা কেন্দ্রেও কোনও তথ্য ছিল না।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ গ্রামীণ অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। পুর এলাকার মতো পুরসভার শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা ওই এলাকায় নেই। শিলিগুড়ি শহর থেকে শববাহী গাড়ি এসে দেহ নিয়ে যায়। আগে একাধিক বার দুঃস্থ পরিবারের কেউ মারা গেলে সে ভাবেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি অসীমের পুত্রসন্তানের বয়স ছিল পাঁচ মাস। অসীম এবং তাঁর পরিবার কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা। শনিবার রাতে শিশুটির মৃত্যু হয়। পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক অসীম জানিয়েছিলেন, সন্তানের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজে ১০২ নম্বরে ফোন করেছিলেন। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সে কেউ দেহ নিয়ে যেতে প্রথমে রাজি হননি।

তার পরে ৮ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। তার কাছে অত টাকা ছিল না। ফলে কাছের বাজার থেকে একটি ব্যাগ কিনে এনে তাতেই সন্তানের নিথর দেহটি ভরে তিনি বাসে উঠে পড়েন। সহযাত্রীরা যাতে বুঝতে না পারেন, তাই কাপড়জামা দিয়ে ঢেকে দেন শিশুটির দেহ। ওই ভাবেই সন্তানের দেহ নিয়ে কালিয়াগঞ্জের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন অসীম।