আপাতত চাকরি (SSC Recruitment Case) থাকছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর ১৬ জুলাই পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে রাজ্যের শাসকদল। আদালতের রায়ের কিছুক্ষণের মধ্যে এক্সে পোস্ট করে সুপ্রিম কোর্টকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় প্রাপ্তির পর আমি বাস্তবিকই খুব খুশী এবং মানসিকভাবে তৃপ্ত। সমগ্র শিক্ষক সমাজকে জানাই আমার অভিনন্দন এবং মাননীয় সুপ্রিম কোর্টকে জানাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা।’
এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এখনই ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হচ্ছে না। হাইকোর্টের রায়ের কয়েকটি ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিলেও শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সাদা খাতা জমা দিয়ে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চলবে।
আদালতের নির্দেশ, যদি ভবিষ্যতে কেউ অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী বলে প্রমাণিত হন, তাহলে তাঁকে বেতন ফেরত দিতে হবে। মুচলেকাও দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। দীর্ঘ শুনানির শেষে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আরও বলেন, নবম-দশম শ্রেণির এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করলে পঠনপাঠনও ব্যাহত হবে।
🙏
I am really very happy and mentally relaxed on receipt of justice at the highest Court of the land. Congratulations to the entire teaching fraternity and my humble regards to the Hon'ble Supreme Court of India.🙏
সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় প্রাপ্তির পর আমি বাস্তবিকই খুব খুশী এবং…— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 7, 2024
শীর্ষ আদালত এদিন জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের উপর অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে। মামলার পরবর্তী শুনানি অর্থাৎ ১৬ জুলাই পর্যন্ত কারও চাকরি যাচ্ছে না। একই সঙ্গে আপাতত কাউকে বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে না। একই সঙ্গে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির বিষয়ে হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা এদিন আদালতে জানিয়েছে এসএসসি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এসএসসি জানিয়েছে, ২০১৬-র চাকরির প্রায় ১৯০০০ নিয়োগ বৈধ। অর্থাৎ, এটা স্পষ্ট যে ৭০০০ নিয়োগ অবৈধ, তা শীর্ষ আদালতে বকলমে স্বীকার করে নিয়েছে এসএসসি।
২২ এপ্রিল, সোমবার ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের এই নজিরবিহীন রায়ের ফলে চাকরি হারান ২৫ হাজার ৭৫৩ জন।
একই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দেয়, এসএসসি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। সুদের হার হবে বছরে ১২ শতাংশ। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশ, এসএসসি এবং পর্ষদ।