BJP: শাহজাহানকে পুলিশই লুকিয়ে রেখেছে: সুকান্ত মজুমদার

সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহান পলাতক। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাপরিষদ কর্মাধক্ষ্য শাহজাহানকে ধরতে চলছে নাকা চেকিং। এর মাঝে জেলার ন্যাজট…

সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহান পলাতক। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাপরিষদ কর্মাধক্ষ্য শাহজাহানকে ধরতে চলছে নাকা চেকিং। এর মাঝে জেলার ন্যাজট থানা ঘেরাও করে BJP রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদাররের অভিযোগ, শাহজাহানকে পুলিশই লুকিয়ে রেখেছে। থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে সাময়িক ধস্তাধস্তি হয়। 

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। মিছিল করে তাঁরা থানার দিকে এগোলে মাঝপথেই বাধা পান। ব্যারিকেডে আটকে পড়েন সুকান্তরা। এরপরই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ফেলে দেওয়া হয় গার্ডরেল। বাধা পেয়ে অবস্থানে বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার-সহ বিজেপি নেতা কর্মীরা।

এদিন ন্যাজাট থানার আগে ন্যাজাট বিডিও অফিসের মোড় ন্যাজট বটতলায় এদিন পুলিশি ব্যারিকেড রাখা হয়। সুকান্তদের মিছিল সেখানে পৌঁছতেই বিজেপির মিছিল আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই অশান্তি বাধে। বচসা থেকে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি।

পুলিশের যুক্তি, ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে মিছিল আটকানো হয়। পাল্টা সুকান্ত দাবি করেন, এতদিন পর এদিনই হঠাৎ কেন ১৪৪ ধারা জারি করা হল? পুলিশকে সুকান্ত প্রশ্ন করেন, “১ কিলোমিটার আগে থেকে ১৪৪ ধারা আছে মেনে নিলাম। তাহলে ২০ কিলোমিটার ২৫ কিলোমিটাক আগে ব্যারিকেড কেন?” পুলিশের দাবি, তা নাকা চেকিংয়ের জন্য। যদিও সুকান্ত তা মানতে চাননি। বলেন, বিজেপি কর্মীদের আটকে দেওয়া হয়।

সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “১৪৪-এর কোনও কেস নম্বর নেই। কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। স্কুল কলেজ এলাকায় খোলা। অথচ বলছে ১৪৪ ধারা। সুকান্ত মজুমদার এলে নাকি শান্তি বিঘ্নিত হবে বলছে। ওদিকে সবুজদ্বীপের রাজা শেখ শাহজাহান ঘুরে বেড়াচ্ছেন।”

এরইমধ্যে এক মহিলা বিজেপি কর্মী দাবি করেন, তাঁর চুড়ি ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। শাড়ি ধরে টানাটানি করেছে। সুকান্ত তাঁকে পরামর্শ দেন, “পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করুন।”এ রপর বিজেপির পাঁচজনের প্রতিনিধি দল কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ন্যাজাট থানায় যায়। তাদের বক্তব্য, একজন সাব ইন্সপেক্টর ওসি ডেপুটেশন নিলেন। এটা দুঃখজনক।