গণনাপর্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠিচার্জ সামশেরগঞ্জে

পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। একাধিক খুনের ঘটনা এই মুর্শিদাবাদেই। গণনার দিনেও সেই একই চিত্র নজরে আসলো। রীতিমতন রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ।…

পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। একাধিক খুনের ঘটনা এই মুর্শিদাবাদেই। গণনার দিনেও সেই একই চিত্র নজরে আসলো। রীতিমতন রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ।

জানা গিয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে বারংবার ভিড় জমাচ্ছিলেন বিরোধী দলের কর্মীরা। সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানরা লাঠি তুলে ভিড় সারানোর চেষ্টা করেন। বিরোধীদের তাড়া করে ভিড় সরানোর চেষ্টা করে। তবে একজনকে সরাতে না সরাতেই অন্য এক বিরোধীপক্ষ ভিড় জমাতে শুরু করে। এই একাধিক দলকে ছত্রভঙ্গ করতে রীতিমতো লাঠিচার্জ করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।

এই জমায়েতে ছিলেন সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানরা তাকেও সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু বাঁধা দেয় এই তৃণমূল বিধায়ক। এই নিয়ে গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়।

আমিরুল ইসলামের দাবি, তিনি ওই এলাকায় পঞ্চায়েত প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে গিয়েছিলেন। তবে এই দাবি মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের কঠোর নির্দেশ কোনো ভাবেই গণনা কেন্দ্রের কাছাকাছি ভিড় করা যাবে না।

দুই পক্ষেরই ধাক্কাধাক্কি শেষ পর্যন্ত মারামারি রূপ ধারণ করে। এরপর রাজ্য পুলিশ এসে ওই বিধায়ককে সরিয়ে নিয়ে যায়।