CBI: বুধেই কি …! সিবিআই ঘরে ঢোকার আগে বুক কাঁপছে অনুব্রতর

বুধেই কি জেরার পর আর বের হওয়া সম্ভব হবে? নিজাম প্যালেসে ঢোকার পর কীভাবে বের হবেন তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, সিবিআই (CBI)…

TMC leader Anubrata Mondal hospital

বুধেই কি জেরার পর আর বের হওয়া সম্ভব হবে? নিজাম প্যালেসে ঢোকার পর কীভাবে বের হবেন তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, সিবিআই (CBI) ঘেরাটোপে নাকি দেহরক্ষীদের সঙ্গে? বীরভূম জেলা জুড়ে ফের রাজনৈতিক পরিবেশ অশান্ত হবার আশঙ্কা।

গোরু পাচার মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গল ও ডিভিশন বেঞ্চ রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করেছে। এরপর সিবিআই তরফে অনুব্রত মণ্ডলকে শমন পাঠানো হয়। তাতে বুধবার নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ আছে। সূত্রের খবর, গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন অনুব্রত।

   

বীরভূম জেলা টিএমসি মহলের গুঞ্জন, কেষ্ট দা’র (অনুব্রত) বুক কাঁপছে। তিনি সিঁটিয়ে আছেন। তাঁর শরীর ভালো নয়, যে কোনও সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

গোরু পাচার মামলায় আগে বারবার সিবিআই জেরা এড়িয়ে অসুস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ হওয়ায় তিনি নিজাম প্যালেসে যেতে বাধ্য। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী তথা টিএমসি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও অনুব্রতর গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন।

গোরু পাচার মামলার সূত্র ধরে বীরভূম জেলা থেকে কয়লা ও বালি পাচার সংযোগের সূত্র খুঁজছে সিবিআই। এই কয়লা ও বালি পাচারের বখরা নিয়ে টিএমসির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে হয়েছে গণহত্যা। সরকারি হিসেবে ৯ জন মৃত। বেসরকারি হিসেবে ১২-১৪ জনকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে খুন করা হয়। গণহত্যা এই তদন্তের সূত্র নিতে সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে বগটুই গ্রামে। নিহতদের পরিবারের তরফে অনেকেই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন।