লোকসভা ভোট মিটতেই বাংলায় বাজল বিধানসভা ভোটের বাদ্যি, তারিখ ঘোষণা কমিশনের

সদ্য শেষ হয়েছে প্রায় দু’মাসব্য়াপী লোকসভা ভোট। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বাংলায় ফের ভোটের দামামা। এ রাজ্য়ের চার বিধানসভা কেন্দ্রে হবে উপনির্বাচন। দিন ঘোষণা…

By-elections will be held in 4 assembly constituencies of West Bengal on July 10, মানিকতলা রায়গঞ্জ রানাঘাট দক্ষিণ বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচন ১০ জুলাই

সদ্য শেষ হয়েছে প্রায় দু’মাসব্য়াপী লোকসভা ভোট। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বাংলায় ফের ভোটের দামামা। এ রাজ্য়ের চার বিধানসভা কেন্দ্রে হবে উপনির্বাচন। দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। উপনির্বাচন হবে, কলকাতার মানিকতলা, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা, নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ এবং উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে।

২১ জুন মনোনয়ন জমার শেষ দিন। স্ক্রুটিনি হবে ২৪ জুন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ জুন। গণনা হবে ১৩ জুলাই। ১৫ জুলাইয়ের আগে উপনির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে।

   

১০ জুলাই বাংলার চার বিধানসভা কেন্দ্রের সঙ্গেই উপনির্বাচন হবে দেশের সাত রাজ্যের ১৩টি কেন্দ্রে।

কেন উপনির্বাচন?

কলকাতার মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ২০২১ সালে জিতেছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা ওই কেন্দ্রের দীর্ঘদিনের বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। হারিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে। পরাজয়ের পরই গণনায় গড়মিলের অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন পদ্ম প্রার্থী কল্যাণ। এসবের মধ্যেই প্রয়াত হন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। কিন্তু মামলার জটিলতায় ওই কেন্দ্রে আটকে যায় উপনির্বাচন। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর মামলা প্রত্যাহার করে নেন বিজেপির কল্যাণ চৌবে। আদালত কমিশনকে দ্রুত ভোটের নির্দেশ দেয়। শেষপর্যন্ত ১০ জুলাই মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করল।

গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। কিন্তু তিনি ফের তৃণমূলে যোগ দেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের বিশ্বজিৎকেই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে জোড়াফুল শিবির। ফলে কৃষ্ণ কল্যাণী, মুকুটমণির পর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন বিশ্বজিৎ-ও। ফলে বাগদা কেন্দ্রে এবার উপনির্বাচন হবে।

কে হবেন বিজেপির নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি? একাধিক নাম নিয়ে জল্পনা

একুশের বিধানসভা ভোটে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে জয় পেয়েছিলেন বিজেপির কৃষ্ণ কল্যাণী। পরে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কৃষ্ণ কল্যাণীকেই রায়গঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী করে। ফলে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন কৃষ্ণ কল্যাণীকে। তাঁর ইস্তফার ফলে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।

রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে একুশ সালে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন মুকুটমণি অধিকারী। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন। দলবদলু মুকুটমণিকেই চব্বিশের লোকসভা ভোটে রানাঘাট কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। তাই মুকুটমণিও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেই কেন্দ্রেই এবার হবে উপনির্বাচন।