দু’জায়গা থেকে বেতন নেওয়া ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ ব্রাত্যকে রক্ষা করেছিল বাম-সরকার: রবীন দেব

রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের জমানায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) কেন্দ্র ও রাজ্য দু’জায়গা থেকে বেতন নিয়েছিলেন। এর ফলে নিজের চাকরি খোয়াতে বসেছিলেন। তদানীন্তন বাম সরকারের শিক্ষামন্ত্রী সুদর্শন রায়চৌধুরীর বিশেষ হস্তক্ষেপে সেই চাকরি যায়নি।

Bratya Basu with Robindra Deb

রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের জমানায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) কেন্দ্র ও রাজ্য দু’জায়গা থেকে বেতন নিয়েছিলেন। এর ফলে নিজের চাকরি খোয়াতে বসেছিলেন। তদানীন্তন বাম সরকারের শিক্ষামন্ত্রী সুদর্শন রায়চৌধুরীর বিশেষ হস্তক্ষেপে সেই চাকরি যায়নি। এমনই জানিয়েছেন সিপিআইএম নেতা রবীন দেব (Robindra Deb)। তিনি বলেন, তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে একটি কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির বেতনভুক ছিলেন ব্রাত্য বসু। এই কারণে বিপদে পড়েছিলেন। যেহেতু তিনি বিশিষ্ট নাট্যকর্মী তাই বামফ্রন্ট সরকার তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীল ভূমিকা নিয়েছিল।

আরও পড়ুন: Bratya Basu: বামফ্রন্ট সরকার বাঁচিয়েছিল ব্রাত্য বসুর চাকরি, শিক্ষামন্ত্রীর নীরবতা কি সম্মতির লক্ষণ?

   

শিক্ষা দফতরের নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এর মাঝে অভিযোগ করেন, সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরির স্বচ্ছ নয়। শিক্ষামন্ত্রীকে কটাক্ষ করে সুজন চক্রবর্তী বলেন দূর্বল চিত্রনাট্য। ব্রাত্য বসুর ভালো করে হোমওয়ার্ক দরকার ছিল।

তবে হমলা অব্যাহত রেখেছে বামপক্ষ। সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব বলেছেন, ব্রাত্য বসু এ রাজ্যে কলেজে অধ্যাপনা করতেন। মমতা ব্যানার্জি যখন ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে রেলমন্ত্রী হন। তখন মমতার পরামর্শে একটি উপদেষ্টা কমিটির দায়িত্ব পালন করেন ব্রাত্য বসু। সেই কমিটি থেকে বেতন প্রাপ্ত ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: Tet Scam:নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ভেস্তে দিতেই এমন অচলাবস্থা : ব্রাত্য বসু

রবীন দেব বলেন, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বেতন নেওয়ার দায়ে চাকরি ক্ষেত্রে বসেছিল বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী প্রাপ্ত বসুর। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় তার অধ্যাপনা চাকরি চলে যেতে বসেছিল। সেই চাকরি রক্ষা পেয়েছিল একজন প্রতিষ্ঠিত নাট্যকর্মীর প্রতি বামফ্রন্ট সরকারের সহানুভূতির ফলেই।দু’জায়গায় যেহেতু টাকা নেওয়া যায় না তাই বামফ্রন্ট সরকারের পক্ষ থেকে তাকে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিক পাশ ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সুখবর, নিয়োগ শুরু করবে ইন্দিরা গান্ধী ওপেন ইউনিভার্সিটি

ব্রাত্য বসুকে সিপিআইএম নেতা রবীন দেবের পরামর্শ, তৃণমূল সরকারের গোটা শিক্ষা দফতরটা দুর্নীতির দায়ে জড়িত। এ অবস্থায় ব্রাত্য বসুর এত জোর গলায় কথা বলা মানায় না। একটু ভেবেচিন্তে কোনও উক্তি করতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

রবিন দেব বলেন, ব্রাত্য বসুর বিষয়ে তখন অনুভূতির সঙ্গে দেখা হয়েছিল বলে আজ তিনি শিক্ষামন্ত্রী পদে আছেন। সুতরাং তার এত জোরের সঙ্গে কথা বলা বোধহয় ঠিক না। আসলে তৃণমূল দলটাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। ২০১১ সালে সরকারের আসার পর থেকে তারা কি করেছে সমস্ত ধরা পড়ে যাচ্ছে।