শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করায় মমতাকে খোঁচা বিজেপির

বহিরাগত বলে দাগিয়ে দেওয়া ব্যক্তিদের থেকেও নয়, আসানসোল উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী বিহারের বাসিন্দা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। আর তা নিয়েই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা…

বহিরাগত বলে দাগিয়ে দেওয়া ব্যক্তিদের থেকেও নয়, আসানসোল উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী বিহারের বাসিন্দা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। আর তা নিয়েই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ।

খুব স্বাভাবিকভাবেই বিহারের ব্যক্তিকে বাংলা থেকে প্রার্থী করা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। দলের অন্দরেও অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জয় বাংলা স্লোগান তুলে বিহারী ব্যক্তিকে প্রার্থী করা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। তৃণমূলকে সমর্থন জানানো একাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। আর এই বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ বলেছেন, “আসানসোল থেকে লোকসভায় বাংলা এবং বাঙালীর প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য পশ্চিমবাংলার ১০ কোটি মানুষের মধ্যে কাউকে খুঁজে পেলেন না মাননীয়া।”

   

গত বছরে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে অবাঙালি মূলত হিন্দিভাষীদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আক্রমণের নিশানায় ছিল বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দারা। কিন্তু আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে এক বিহারী ব্যক্তিকে প্রার্থী করল তৃণমূল। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা।

বলিউডের এই প্রাক্তন বিশিষ্ট অভিনেতা দীর্ঘ দিন ছিলেন বিজেপির সঙ্গে। ২০১৯ সাল থেকে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়। বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে ওই বছরে কংগ্রেসের টিকিটে পাটনা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। জয় অধরা থেকে গিয়েছিল। তারপরে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। সেই ব্যক্তিকেই আসানসোল থেকে প্রার্থী করলেন মমতা।

<

p style=”text-align: justify;”>২০১৪ সাল থেকে আসানসোল কেন্দ্রের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। যিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছিলেন। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়ে সাংসদ পত প্রত্যাহার করেন। সেই কারণেই ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। অন্যদিকে বাবুল সুপ্রিয়কে কলকাতার বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছেন মমতা। ওই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন বাংলার প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আগামী মাসের ১২ তারিখে দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ। ফলাফল ঘোষণা হবে ১৬ এপ্রিল।