আসানসোলে বাবুলের মাটি নরম, তাই প্রার্থী বালিগঞ্জে

 ব্যংকের স্থায়ী চাকরি ছেড়ে গান গাইতে গিয়েছিলেন মুম্বাইতে। সেখান থেকে ২০১৪ সালে বাংলায় ফিরে রাজনীতি শুরু করেন বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোল কেন্দ্রে জিতে দক্ষিণবঙ্গে বিজেপির খাতা…

 ব্যংকের স্থায়ী চাকরি ছেড়ে গান গাইতে গিয়েছিলেন মুম্বাইতে। সেখান থেকে ২০১৪ সালে বাংলায় ফিরে রাজনীতি শুরু করেন বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোল কেন্দ্রে জিতে দক্ষিণবঙ্গে বিজেপির খাতা খোলেন তিনি। তাঁর হয়ে প্রচারে এসেছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দায়িত্ব। দুই দফায় বিজেপির সাংসদ হয়েও দল ছেড়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ত্যাগ করেন সাংসদ পদ।

সেই বাবুল সুপ্রিয়কে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। ওই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াণে ওই কেন্দ্রটি খালি হয়। সেই কেন্দ্র থেকেই বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করেছেন মমতা। আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় গত বছর কলকাতার টালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু জিততে পারেননি। উপনির্বাচনে সেই ব্যক্তির উপরেই ভরসা রাখল তৃণমূল।

যদিও এই বিষয়টি নিয়ে অন্য আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে। আসানসোলের দুইবারের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও বাবুলকে কেন ওই কেন্দ্র থেকেই জিতিয়ে লোকসভায় পাঠল না তৃণমূল? এই প্রশ্নও ঘুরছে রাজনীতির অন্দরে। জানা গিয়েছে, আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র জমি শক্ত ছিল না। সেই কারণেই তৃণমূলের গড় দক্ষিণ কলকাতা থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। বিজেপিতে থাকার সময়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাবুলের কীর্তিতে চটে রয়েছে স্থানীয় ঘাস ফুলের নেতাকর্মীরা। যার বড় প্রভাব পড়তে পারে ভোট বাক্সে। সেই তত্ত্ব থেকেই বালিগঞ্জে পাঠানো হয়েছে বাবুলকে।

আসানসোলের ভোটারদের বড় অংশ সংখ্যালঘু মুসলিম। ২০১৮ সালে ওই শহরে বড় আকারের সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছিল। যার নেপথ্যে বাবুল ছিল অভিযগ করে বিজেপি। সেই ব্যক্তিকে প্রার্থী করলে সংখ্যালঘু ভোট হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা ছিল। সেই সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বাবুলের মন্তব্যের বিষয়টিও রয়েছে। সব মিলিয়ে বাবুলের জন্য আসানসোল একেবারেই উপযুক্ত জায়গা ছিল না। সেই কারণেই উপনির্বাচনে লড়াই করার জন্য আসানসোল পাঠান হল না তাঁকে।