Sukanta Majumdar: পঞ্চায়েতে নীচুতলায় রাম-বাম জোটের ‘বার্তা’ বিজেপি সভাপতির

প্রেম আর যুদ্ধে সবই সম্ভব! তা সে রাজনৈতিক লড়াইও হোক না কেন৷ বঙ্গ-বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারে (Sukanta Majumdar) মন্তব্যে ঠিক তারই আভাস পাওয়া গেল৷ তৃণমূলকে…

Sukant Majumder

প্রেম আর যুদ্ধে সবই সম্ভব! তা সে রাজনৈতিক লড়াইও হোক না কেন৷ বঙ্গ-বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারে (Sukanta Majumdar) মন্তব্যে ঠিক তারই আভাস পাওয়া গেল৷ তৃণমূলকে ঠেকাতে নীতি আদর্শ ভুলে যে কোনও উপায় গ্রহণ করতে প্রস্তুত গেরুয়া শিবির৷ রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে বামের সঙ্গে রামের হাত ধরাধরি করে চলারই ইঙ্গিত দিলেন সুকান্তবাবু৷

বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ভাষা ‘ বিজেপি কারও সঙ্গে জোট করতে পারবে না। কিন্তু, নীচুতলার লোকেরা যা করার করবে। তাদের উপর তো নিয়ন্ত্রণ চলে না। তবে এক্ষেত্রে কন্ট্রোল থাকবে বিজেপির হাতে’।

   

সম্প্রতি রাজ্যে একাধিক সমবায় নির্বাচনে নীচুতলায় রাম-বাম জোট হয়েছে। তার ফলও মিলেছে হাতে গরম৷ এই রাম-বাম জোট শাসকদলকে কার্যত নাকানি-চুবানি খাইয়ে ছেড়েছে৷ তারপর থেকেই বাংলার রাজনীতিতে জোর জল্পনা, তাহলে কি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারকেই মডেল করবে বিরোধীরা? এরই মাঝের সেই জল্পনা আরও উস্কে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি৷

সম্প্রতি নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে বামেদের প্রশংসা করেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীরও। ‘বামপন্থীরা সবাই খারাপ নন’, সেদিন এই মন্তব্য করে শুভেন্দু অধিকারী করেন, ‘নন্দীগ্রামের হিন্দু বামেরা ভোট দিয়েছেন বলেই আমি জিতেছি। বামপন্থীরা সবাই খারাপ নয়। আমাদের সঙ্গে অনেক বামপন্থীরাই এসেছেন’।

ক’মাস পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। গ্রাম দখলের লড়াই। তার আগে নানা জল্পনায় সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের কথায়,’ নড়বড়ে সংগঠন। আর ঘরোয়া কোন্দলে জেরবার বঙ্গ বিজেপির পঞ্চায়েতে ভালো ফল করার লক্ষ্যে তাদের এখন ভরসা নীচুতলার অবিজেপিরা’।