Bhangar: তৃণমূল ‘বাদশা’ ভাঙড়ের আরাবুলের বাড়ির কাছে বস্তাবন্দি বোমা উদ্ধার

তৃণমূল নেতা আবারুল আবার শিরোনামে! ভাঙড়ের (Bhangar) ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজনীতি দিন গরম হয়ে উঠছে৷ শীতের আবহে কলকাতাসহ শহরতলির রাজনৈতিক পরিস্থিতি রীতিমতো গরম

Many bombs were recovered near Bhangar Trinamool leader Ababul Islam's house

তৃণমূল নেতা আরাবুল আবার শিরোনামে! ভাঙড়ের (Bhangar) ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজনীতি দিন গরম হয়ে উঠছে৷ শীতের আবহে কলকাতাসহ শহরতলির রাজনৈতিক পরিস্থিতি রীতিমতো গরম করে তুলছে ভাঙড়৷ রবিবার ভাঙড়ে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি তাজা বোমা। আর সেই বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হল তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের (Arabul Islam) বাড়ির পিছনের চাষের জমি থেকে! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

শুক্রবার থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড় (Bhangar)। তৃণমূল-আইএসএফ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। বোমাবাজি থেকে পার্টি অফিসে আগুন, মারামারি৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি এখনও থমথমে। শনিবার ভাঙড়ের সেই রাজনৈতিক আগুনের আঁচে পুড়েছিল কলকাতার ধর্মতলায়। আইএসএফ সমর্থকদের আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল কলকাতার প্রাণকেন্দ্র৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে তৃণমূল নেতা আরাবুলের বাড়ির কাছে বস্তাভর্তি বোমা দেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তদন্তে শুরু করে পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। বোমা ছাড়াও একটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিবুল সংবাদমাধ্যমকে জানান, “শনিবার রাত থেকে ওই জমিতে আইএসএফের কর্মীরা বোমা-বন্দুক নিয়ে বসেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর। তবে সাধারণ মানুষ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।”

প্রসঙ্গত, শনিবার ধর্মতলা চত্বরে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধের চিত্র এখনও টাটকা। ইট বৃষ্টি থেকে কাঁদানে গ্যাস, দুই পক্ষের লড়াইয়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল কলকাতা। আইএসএফ কর্মীদের বিক্ষোভ তুলতে গেলেই পুলিশের সঙ্গে গন্ডগোল শুরু হয়। তবে শেষে পুলিশ জমায়েত সরিয়ে দেয়। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ বেশ কয়েকজন আইএসএফ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।