Purba Bardhaman: তৃণমূলের আমলে পুকুরচুরি কান্ড, হাসপাতালে বিরিয়ানির বিল ৩ লাখ

কাটোয়া হাসপাতালে বিরিয়ানি খাওয়ার বিল তিন লক্ষ টাক! গাড়ি, আসবাব, ওষুধ সহ একাধিক জিনিসের লক্ষ লক্ষ টাকা বিল তোলার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে বিরিয়ানির বিল থেকে…

কাটোয়া হাসপাতালে বিরিয়ানি খাওয়ার বিল তিন লক্ষ টাক! গাড়ি, আসবাব, ওষুধ সহ একাধিক জিনিসের লক্ষ লক্ষ টাকা বিল তোলার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে বিরিয়ানির বিল থেকে বাগানের চারাগাছের বিল, সবের খরচ লাগামছাড়া।

চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। প্রাক্তন সুপারের দিকে আঙুল তুলছেন বর্তমান সুপার। দায় এড়াচ্ছেন প্রাক্তন। কে কখন সই করেছে তা নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করতে শুরু করেছেন।

সেই হাসপাতালের বাগানে আবার চারাগাছের বিল ২ লক্ষ টাকা। এই ধরনের ৮১ টি অসঙ্গতিপূর্ণ বিল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

অভিযোগ, প্রায় এক কোটি টাকার ভুয়ো বিলের অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিরিয়ানি গাড়ি গাছ আসবাব ওষুধ সহ ইলেকট্রনিক যন্ত্রের বহু বিলের কোনও সারবত্তা নেই বলে দাবি করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে এই ভুয়ো বিল জমাকারী অভিযুক্ত ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুষ্পেন্দু মাঝি নামে এক ঠিকাদার বিরিয়ানির তিন লক্ষ টাকার বিল জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন। তবে তিনি দাবি করেন, কোভিড পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ডাক্তার ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নিয়মিত খাবার সরবরাহ করেছেন। এই বিল তারই।

একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, বিল ভুয়ো হলে তাতে কী করে ওয়ার্ক ডান বলে সই করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? হাসপাতালের সুপার সৌভিক আলম জানান, নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পরেই এই অভিযোগ তাঁর নজরে এসেছে। যা তিনি রোগী কল্যাণ সমিতেকে জানিয়েছেন।

কাটোয়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তিন লক্ষ টাকার বিল আসলে আসেনি। বেশ কিছু বিলের ক্ষেত্রে কারচুপি হয়েছে। আইনের পথেই হাঁটতে হবে। কেউ ছাড় পাবে না।