Birbhum: কেষ্টর গড়ে CPIM জনসভায় ঢল, মমতাকে তাড়ানোর হুঁশিয়ারি মীনাক্ষীর

গোরু পাচার তদন্তে সিবিআই জালে তৃ়ণমূল কংগ্রেস বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি (Anubrata Mondal) অনুব্রত মণ্ডল। বাজেয়াপ্ত বিপুল সম্পত্তি। তৃ়ণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)…

গোরু পাচার তদন্তে সিবিআই জালে তৃ়ণমূল কংগ্রেস বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি (Anubrata Mondal) অনুব্রত মণ্ডল। বাজেয়াপ্ত বিপুল সম্পত্তি। তৃ়ণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার তাঁর প্রিয় কেষ্টর হয়ে বার্তা দিচ্ছেন। খোদ কেষ্টর গড় বীরভূমের লোহাপুর থেকে এবার সরাসরি হুঁশিয়ারি সিপিআইএমের (CPIM) যুবনেত্রী (Minakshi Mukherjee) মীনাক্ষী মুখার্জির। তিনি বলেছেন, মমতা ব্যানার্জি কিস ক্ষেত কা মূলী, ওকে তাড়িয়ে দেব আমরা।

সোমবার বীরভূমের লোহাপুরে সিপিআইএমের যুব সংগঠন DYFI এর জনসভা ঘিরে বিরাট ভিড় দেখা যায়। এই ভিড় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আনোচিত হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর সিপিআইএমের এমন সমাবেশ নিয়ে তৃ়ণমূল কংগ্রেসও চিন্তিত।

লোহাপুরের জনসভায় মীনাক্ষী মু়খার্জি আসতেই তাঁকে ঘিরে বিরাট ভিড় জমে যায়। বাম যুব সংগঠনের তরফে মীনাক্ষীকে রক্ষীদের মতো ঘিরে রেখে মঞ্চে তোলা হয়।

গত বিধানসভা ভোটে এই জেলায় সিপিআইএমের দখলে থাকা একমাত্র আসন নানুর ছিনিয়ে নিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সর্বশেষ পুরভোটে জেলার সবকটি পুরসভা তৃ়ণমূল দখলে গেলেও সিপিআইএম উঠে আসে দ্বিতীয় শক্তি হয়ে। বাম আমলে লাল দুর্গ বীরভূম পরিবর্তনের পর তৃ়ণমূল ঘাঁটি হয় অনুব্রতর নেতৃত্বে। সেই এলাকা থেকেই মীনাক্ষী সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে তাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিলেন।

বীরভূম থেকে তিনি তোপ দাগলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, গোরু চোরের মতো সব চোর জেলে থাকবে৷ আর রাস্তাজুড়ে আমরা থাকব৷ কারণ, রাস্তায় চলতে গিয়ে আমাদের কর্মীরা খুন হয়েছে। ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে৷ ঘরছাড়া হতে হয়েছে বহুজনকে৷ মা, বাপের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি ছিল বা৷ কোনও গ্রামে কোনও অসুবিধা হলে পুলিশ আগে নেতাগুলোকে ফোন করত। যে নেতারা আজ চোর হয়েছে৷ জেলে ঢুকে আছে৷ যে পুলিশগুলো ফোন করে গাঁয়ে ঢুকত তারা টেবিলের তলায় ফাইল মাথায় নিয়ে লুকতো৷

গত সপ্তাহে পূর্ব বর্ধমানের সদর বর্ধমানে সিপিআইএমের জনসভা থেকে বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া স্ট্যাচু উপড়ে ফেলা হয়। এর জেরে রাজনৈতিক মহল সরগরম। সেই প্রসঙ্গ টেনে বীরভূম থেকে মীনাক্ষীর দাবি, বর্ধমানের কর্মীরা বুঝিয়েছে কত ধানে কত চাল হয়৷ পুলিশও বুঝেছে।