Bimal Gurung: আমরণ অনশন মঞ্চ থেকে সরলেন গুরুং, বন্ধু তৃণমূল পাত্তা দেয়নি

পঞ্চম দিনের মাথায় আমরণ অনশন থেকে সরে এলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা (Bimal Gurung) বিমল গুরুং। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। সমর্থক ও চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে…

পঞ্চম দিনের মাথায় আমরণ অনশন থেকে সরে এলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা (Bimal Gurung) বিমল গুরুং। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। সমর্থক ও চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে অনশন মঞ্চ ত্যাগ করলেন তিনি। জিটিএ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে তিনি অনশন কর্মসূচি চালাচ্ছিলেন দার্জিলিংয়ের সিংমারিতে।

তাৎপর্যপূর্ণ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (গোজমুমো) নেতা গুরুংয়ের অনশন কে পাত্তা দেয়নি এখনকার বন্ধু তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকার। জিটিএ ভোট এখনই নয় এই দাবি রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন গুরুং। তবে রাজ্য সরকার নির্বাচন করানো থেকে সরে আসেনি। এর পর আমরণ অনশন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন বিমল গুরুং।

   

পাঁচদিন আগে তিনি অনশন শুরু করেন। তারপরেও তেমন গুরুত্ব দেয়নি রাজ্য সরকার। লক্ষ্যনীয় গুরুং অনশন শুরু করলেও দার্জিলিং ও কালিম্পং দুই পাহাড়ি জেলার রাজনীতি যতটা গরম হবে বলে মনে করা হচ্ছিল ততটা হয়নি।

এদিকে জিটিএ ভোট বাতিলের দাবিতে গুরুং অনশন জারি রাখেন। রবিবার পঞ্চম দিনে তাঁর শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তারা বলেন, গুরুংয়ের রক্তচাপ ওঠানামা করছে। প্রস্রাবে রক্ত আসছে। সোডিয়াম ও পটাশিয়ামও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছে। দ্রুত হাসপাতালে নিতে বলেন চিকিৎসকরা। এরপর গুরুং বাধ্য হয়েই অনশন মঞ্চ ছাড়েন।

রবিবার গুরুংকে দেখতে অনশন মঞ্চে উপস্থিত হন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। আসেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। গুরুংকে অনশন তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তাঁরা। গুরুং রাজি হন।

আগামী ২৬ জুন জিটিএ নির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিজ্ঞপ্তি ঘোষণার পর ভোট বাতিলের দাবি করে গুরুং বলেন, রাজ্য সরকারের কথা ছিল তরাই এলাকার ৩৯৬ টি মৌজা জিটিএর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কিন্তু সেই দাবি মানা হয়নি। সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেছিলেন পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করবেন। কিন্তু গুরুংয়ের দাবিতে কর্ণপাত করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে গুরুংয়ের দাবি সমর্থন করে অপর পাহাড়ি দল জিএনএলএফ। একই ইস্যুতে সমর্থন জানান দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ।

গত বিধানসভা ভোটের আগে গুরুং বিজেপি শিবির ছেড়ে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দার্জিলিং ফিরে এসেছেন। কিন্তু গোজমুমো গুরুংপন্থীদের রাজনৈতিক ক্ষমতা কমে গিয়েছে। দার্জিলিং পুরসভা ভোটে লজ্জাজনক হার হয় গুরুং শিবিরের। ক্ষমতার কেন্দ্রে এখন হামরো পার্টি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, শক্তি কমে যেতেই জিটিএ ভোট নিয়ে ভয় পাচ্ছেন গুরুং। তাই তিনি ভোট বাতিলের দাবি তুলেছেন।