Purba Bardhaman: ভাগিরথীর আতঙ্ক সেই কুমির এখন জালে বন্দি, গ্রামবাসীরা নিশ্চিন্ত

বনদফতরের জালে বন্দি এক বিশাল কুমির। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা প্রশাসন ও বনদফতরের সহযোগিতায় একটি কুমিরকে জালবন্দী করল কাটোয়া ২ ব্লকের অগ্রদ্বীপ গ্রাম পঞ্চায়েতের…

বনদফতরের জালে বন্দি এক বিশাল কুমির। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা প্রশাসন ও বনদফতরের সহযোগিতায় একটি কুমিরকে জালবন্দী করল কাটোয়া ২ ব্লকের অগ্রদ্বীপ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কালিকাপুর গ্রামে।

বেশ কয়েকদিন ধরেই ভাগীরথী নদীতে মহাআনন্দে ভেসে থাকতে দেখা যাচ্ছিল একটি বিশাল কুমিরকে। তা নিয়ে পূর্ব বর্ধমানে কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা মহলে আতঙ্ক তৈরি হয়। শেষমেশ বুধবার বিশাল আকৃতির ওই কুমিরটিকে পাকড়াও করতে সক্ষম হল বনদফতরের কর্মীরা।

   

গ্রামবাসীদের সঙ্গে বনদফতরের কর্মীরা এ দিন ভাগীরথীতে অভিযানে নেমে সাত ঘন্টার চেষ্টায় কুমিরটিকে জালে তুলতে সক্ষম হয়। জ্যান্ত কুমীর দেখতে ভাগীরথীর তীরে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। আপাতত কুমিরটিকে রাখা হয়েছে কাটোয়ার বনদফতরের অফিসে।

কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের কালিকাপুরে ভাগীরথী নদী পারাপারের ফেরিঘাট। এ দিন ভোরে ফেরিঘাট চালু করতে আসেন ঘাট কর্তৃপক্ষ অভিজিৎ হালদার। তখনই তিনি দেখেন কুমিরের মত দেখতে লম্বা একটি প্রাণী ঘাটের কাছে শুয়ে আছে। মনে ভয়ে নিয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে তিনি নিশ্চিৎ হন প্রাণীটি সত্যিই কুমির। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুট। এর পরেই তিনি গ্রামের মানুষজনকে কুমিরের বিষয়ে জানান। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ বন দফতরের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছান। এরপর গ্রামবাসী ও বনদফতরের কর্মীরা একযোগে প্রচেষ্টা চালিয়ে কুমিরটিকে ধরেন।

বর্ষায় ভাগীরথী নদীতে জল বাড়তেই কয়েকদিন আগে দেখা মিলেছিল ঘরিয়ালের। এবার ভাগীরথীতে বিশাল আকৃতির কুমিরের মিলল। ফলে আতঙ্কে ভাগীরথী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। জেলার বন আধিকারিক নীশা গোস্বামী জানান, ‘কাটোয়ার অগ্রদ্বীপে ভাগীরথী নদী থেকে যে প্রাণীটি ধরা হয়েছে সেটা ঘোরিয়াল নয় বরং কুমির। শারীরিক অবস্থা বোঝার জন্য কুমিরটিকে এখন একটু পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। পরে ভাগীরথী নদীর কোনও এক জায়গায় সহায়ক পরিবেশে খুঁজে কুমিরটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে’।