Baruipur Murder: মা’কে সঙ্গে নিয়ে বাবাকে পিস পিস করে কেটেছি, জানাল জয়

‘প্রথমে গলা টিপে বাবাকে মেরে ফেলি। তারপর মাকে সঙ্গে নিয়ে বাবার দেহ কেটে টুকরো করি।’ এমন স্বীকারোক্তিতে চমকে গেলেন পুলিশ অফিসার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে…

‘প্রথমে গলা টিপে বাবাকে মেরে ফেলি। তারপর মাকে সঙ্গে নিয়ে বাবার দেহ কেটে টুকরো করি।’ এমন স্বীকারোক্তিতে চমকে গেলেন পুলিশ অফিসার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে খুন হওয়া (Baruipur Murder) প্রাক্তন নৌসেনা (Ex Navy) উজ্জ্বল চক্রবর্তীর পুত্র জয় জেরায় যা বলছে তাতে ঠান্ডা মাথার পেশাদার খুনিও হার মানবে।

নৌসেনার প্রাক্তন কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর রহস্যজনক মৃত্যুর পিছনে পরিচিত কেউ জড়িত তদন্তে নেমে এমনই সন্দেহ হয় বারুইপুর থানার পুলিশের। জয়ের স্বীকারেক্তি অনুযায়ী, সে মৃত বাবার দেহ টুকরো করছিল সেটা দেখছিল তার মা শ্যামলী চক্রবর্তী। জেরায় খুন ও দেহ কেটে ফেলার মুহূর্তগুলো কল্পনা করে পুলিশ অফিসাররা চমকে যাচ্ছেন।

   

নৌসেনার প্রাক্তন কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ও টুকরো করা দেহাংশ দেখে পুলিশে সন্দেহ হয় 

  • পারিবারিক অশান্তির জেরে খুন?
  • কোনও তৃতীয় সম্পর্ক?
  • টুকরো করে কেটে ফেলা আসলে তীব্র প্রতিহিংসা 

পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে মৃত উজ্জ্বল চক্রবর্তীর পুত্র জয় ও তার মা শ্যামলী। জয়ের স্বীকারোক্তিতে পারিবারিক অশান্তির জেরে খুন ও তীব্র প্রতিহিংসার দিকটি উঠে আসছে। তবে তৃতীয় কোনও সম্পর্কের দিকটিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় জয় বলে তার বাবা উজ্জ্বল চক্রবর্তী নিয়মিত মদের নেশা করতেন। কলেজের ফি সংক্রান্ত বিষয়ে বাবার সাথে ঝগড়া হয়েছিল। বচসার জেরে শ্বাসরোধ করে বাবাকে খুন করে জয়।

জয়ের স্বীকারোক্তি, খুনের পর  মাকে সঙ্গে নিয়ে বাবার দেহ টুকরো করেছি। দেহ পাঁচ টুকরো করে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ফেলে দিয়েছি।

প্রাক্তন নৌসেনা  উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে খুনের অভিযোগে তাঁর  স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতের ছেলে জয় ও স্ত্রী শ্যামলী চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করার পর তাদের নিয়েই পুলিশ দেহের বাকি অংশ খুঁজছে। এই খুনের ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর জুড়ে চাঞ্চল্য।

গত ১৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন উজ্জ্বল চক্রবর্তী। নৌসেনা থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পর আর ফেরেননি। পরিবারের সদস্যরা বারুইপুর থানায় এই বিষয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এদিকে বারুইপুর-মল্লিকপুর রোডের ডিহি এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল অর্ধেক দেহাংশ। পরে জানা যায় সেই দেহাংশ উজ্জ্বল চক্রবর্তীর।

উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দুটি হাত ও কোমরের নিচের অংশ কাটা দেহাংশ মিলেছিল। প্লাস্টিক দিয়ে আটকানো ছিল মুখ। নির্মমভাবে খুন করা হয় তাঁকে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।  মৃতের স্ত্রী ও ছেলে গ্রেফতারের পর এই মৃত্যু রহস্যের সমাধান দ্রুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।