TMC Murder: তৃণমূল নেতাকে খুনের পর জয়নগর অগ্নিগর্ভ

সাত সকালে জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে অগ্নিগর্ভ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জয়নগর এলাকা। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরই বামনগাছি…

সাত সকালে জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে অগ্নিগর্ভ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জয়নগর এলাকা। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরই বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলুয়াখাঁটি গ্রামে একের পর এক বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কার্যত দাউদাউ করে জ্বলেছে গোটা গ্রাম। বাড়ি ঘর, গাছপালা দোকান সব পুড়ে গিয়েছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ। মজুত রাখা ধান ও ধানের গোলা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক প্রকার পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে গ্রাম।

বাড়ির কাছেই খুন করা হয় তৃণমূল নেতাকে। নিহতের নাম সইফুদ্দিন লস্কর। তিনি জয়নগরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। বামনগাছির পঞ্চায়েত সদস্য। এদিন ভোর পাঁচটায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। তখনই গুলি করা হয়।

   

সূত্রের খবর, যে আততায়ীরা গুলি চালিয়েছে তারা এই গ্রামের বাসিন্দা। সেই আক্রোশ থেকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রামের বাড়িগুলি। ভাঙচুর হয়েছে ঘরের টেবিল-চেয়ার। রান্নাঘরের যাবতীয় আসবাব পত্র ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় পুলিশ পৌঁছলেও দমকলের কোনও ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছয়নি। গ্রামীণ এলাকা ফলে রাস্তাঘাট অত্যন্ত খারাপ সেই কারণে এখনও পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি কোনও ইঞ্জিন। তবে আগুন নেভাতে মাঠে নেমেছেন গ্রামের মহিলারা। পুকুর থেকে বালতি নিয়ে জল তুলে বাড়িঘরে ঢালা হচ্ছে। শেষ সম্বলটুকু বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন তারা। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, যে মেরেছে, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অভিযুক্ত স্বীকার করেছে।

পুলিশের সামনেই বাড়িগুলোতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই আগুন লাগানোর ঘটনা তৃণমূলের বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। যাদের বাড়ি আগুনে ভস্মীভূত তারা সিপিএম সমর্থক। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির খুনে কার্যত জ্বলছে জয়নগর এলাকা।

উল্লেখ্য, বাড়ি থেকে বেরিয়ে নামাজ পড়তে যাওয়ার পর সোমবার খুন হন সইফুদ্দিন লস্কর। সেই সময় দুষ্কৃতীরা সইফুদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। ঘটনাস্থলেই ঝাঁঝরা হয়ে যান ওই তৃণমূল নেতা। গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর মধ্যে এক অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলেই পিটিয়ে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ। অপর এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হয় পুলিশের হাতে। তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করার পর থেকেই থমথমে রয়েছে ওই এলাকা। জয়নগর থানার পুলিশ বাহিনীও রয়েছেন সেখানে। জানা গেছে, এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করেছে পুলিশ।