উত্তরাখণ্ডে নির্মীয়মাণ একটি সুরঙ্গে আটকে পড়া প্রায় ৪০ জন শ্রমিককে উদ্ধারের কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলেছে। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সুড়ঙ্গ থেকে মাটি, পাথর বের করে আনার কাজ চলেছে। আটকে পড়া শ্রমিকরা সকলেই সুরক্ষিত আছেন বলে জেলা জরুরীকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা কেন্দ্র জানিয়েছেন। তাদের পাইপের সাহায্যে যথেষ্ট খাবার ও অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলেছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সোমবার ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করতে যাবেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি পরিস্থিতির যথাযথ খবর পেতে উত্তরকাশীর ডিএম রুহেলার সাথে কথা বলেছেন এবং তাকে উদ্ধার অভিযান ত্বরান্বিত করতে বলেছেন। তিনি ফেসবুকে একটি পোস্টে বলেছেন, “আমি ঘটনাস্থলে আধিকারিকদের সাথে যোগাযোগ করছি এবং ক্রমাগত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমি তাদের উদ্ধার তৎপরতা ত্বরান্বিত করতে বলেছি। আমি প্রার্থনা করি সবাই নিরাপদে উদ্ধার হোক”।
জানা গেছে, সুরঙ্গে আটকে পরা শ্রমিকরা, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। হৃষিকেশ-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কে সারা বছর চলাচল উপযোগী রাস্তা নির্মাণের অঙ্গ হিসেবে এই টানেলটি তৈরি হচ্ছিল। রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ছাড়াও, ITBP ও পুলিশের জওয়ানরা ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে সেখানে কাজ করছেন।ধ্বংসাবশেষ অপসারণের জন্য ভারী খনন যন্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিষয়টি নিয়ে, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে কথা বলেছেন। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন তিনি। পাশাপাশি, রাজ্যকে সবরকম সহায়তার’ও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত,রবিবার সকালে ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী জাতীয় মহাসড়কের সিল্কিয়ারা এবং দান্দলগাঁওয়ের মধ্যে একটি নির্মাণাধীন টানেলের একটি অংশ ধসে অন্তত ৪০ জন শ্রমিক আটকা পড়েছে ।পুলিশ, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স এবং স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ) কর্মীরা ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে।