কিশোরীসহ গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ

মালদহ: লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় একের পর এক নারী নির্যাতনের খবর প্রকাশ্যে আসছে৷ এর জেরে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি৷ সন্দেশখালির মাঝে খবরের শিরোনামে এল মালদহ৷ একই দিনে…

Hanskhali case

মালদহ: লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় একের পর এক নারী নির্যাতনের খবর প্রকাশ্যে আসছে৷ এর জেরে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি৷ সন্দেশখালির মাঝে খবরের শিরোনামে এল মালদহ৷ একই দিনে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল জেলায়৷ নাবালিকা ও এক গৃহবধূকে খুন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে আসতেই জেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নারী নিরাপত্তা নিয়ে৷

প্রথম ঘটনাটি ওল্ড মালদহের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ওই এলাকার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর মাথা থেঁতলানো দেহ উদ্ধার হয়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়৷ ওই কিশোরীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷

পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে আদিবাসী ওই কিশোরী গ্রামের বাঁধনা পরবে যোগ দিতে গিয়েছিল৷ এদিন রাতে ইটভাটায় তার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা৷ খবর দেওয়া হয় মালদহ থানায়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে৷ এরপর ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে৷ অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার সব স্থানীয় বাসিন্দারা৷

অন্যদিকে, দ্বিয়ীত ঘটনাটি মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার চরি-অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে৷ একই দিনে ওই গ্রামের ভুট্টা খেত থেকে এক গৃহবধূর গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়৷ নিহতের নাম মৌসুমী মণ্ডল (৩৫)৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ৷ দেহ উদ্ধার করে ময়নতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চরি-অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মৌসুমীর বাপের বাড়ি৷ চার দিন আগে অসুস্থ বাবাকে দেখতে তিনি বাপের বাড়ি এসেছিলেন৷ শুক্রবার সকালে তিনি পারিবারিক জমি দেখভাল করতে মাঠে যান৷ সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি বাড়ি ফিরে আসেননি৷ তাঁর দাদা খোঁজ করলেও মেলেনি বোনের হদিস৷

এরপরই এদিন সন্ধ্যায় ছাগল চরাতে গিয়ে তাঁর দেহ দেখতে পায় দুই কিশোর৷ মৌসুমী দেবীর দাদার অভিযোগ, মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে৷ যৌন নির্যাতনের পর গলায় হাঁসুয়ার কোপ দিয়ে খুন করা হয়েছে৷ কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়ে তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ৷ ঘটনার তদন্তে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ৷