সোহমের ‘মারধর’ বিতর্কের পরই জনপ্রতিনিধিদের বার্তা অভিষেকের! কী লিখলেন?

তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধি, নেতা ও সদস্যদের উদ্দেশে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। জনগণের প্রবল আস্থার প্রতি সম্মান দেখিয়ে জনপ্রতিনিধি,…

Abhishek Banerjees message to TMC representatives leaders and members after beating the restaurant owner by Soham Chakrabarty

তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধি, নেতা ও সদস্যদের উদ্দেশে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। জনগণের প্রবল আস্থার প্রতি সম্মান দেখিয়ে জনপ্রতিনিধি, নেতা ও সদস্যদে আরও নম্র হতে নির্দেশ দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তিন বারের সাংসদ। এই নির্দেশ এসেছে মোদীর শপথের ঠিক আগেই। তবে মনে করা হচ্ছে, অভিষেকের নির্দেশের নেপথ্যে রয়েছে শনিবার চণ্ডীতলার বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর মারধরের ঘটনা!

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘জয় নম্র ও বিনয়ী হতে শেখায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সকল নেতা ও সদস্য়দের অনুরোধ করছি জনগণ আমাদের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন তাতে ভরসা রাখুন ও সেই আস্থাকে স্বীকৃতি দিয়ে সম্মান জানান। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের আদেশের কাছে ঋণী এবং তাদের উচিত আরও দায়িত্বশীলভাবে কাজ করা।’

   

নিউটাউনের সাপুরজি এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় শুটিং চলছিল অভিনেতা তথা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর। সেখানেই গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে রেস্তোরাঁ মালিকের সঙ্গে অভিনেতা-বিধায়কের শুরুতে কথা কাটাকাটি, পরে বেধড়ক হাতাহাতি হয়। সোহম ওই রেস্তোরাঁ মালিককে মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। পাল্টা সোহমের অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তাঁকে কটাক্ষ করা হয়েছিল। এরপরেই নিউ টাউন থানায় যান সোহম চক্রবর্তী ও রেস্তোরাঁর মালিকও। এরপর রেস্তোরাঁর কর্মীদের বয়ান রেকর্ড করে পুলিস। সেই বয়ানই অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ওই বয়ান অনুযায়ী সোহম ও তার কয়েকজন সঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে পুলিস। অন্যদিকে সন্ধ্যেয় এসে ওই রেস্তোরাঁর মালিক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সোহম চক্রবর্তী।

এই মুহূর্তে রাজ্যে পুরভোট হলে কী হবে ফলাফল, উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য

ঘটনার প্রায় ১৭ ঘন্টা পর সোহম চক্রবর্তী রেস্তারাঁ মালিককে মারধরের অভিযোগ স্বীকার করে নেন।

সম্পূর্ণ ঘটনায় তৃণমূলের নাম জড়ানোয় শাসক দলের অস্বস্তি বাড়ে। জনমনে যার প্রভাব খুব শুভ নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই লোকসভা ভোটে সাফল্যের পর দলের জনপ্রতিনিধি, নেতা ও সদস্যদের কর্তব্য মনে করিয়ে দিলেন খোদ অভিষেক। দল যে এসব ভালভাবে দেখছে না তাও বুঝিয়ে দিলেন।