আলিপুরদুয়ারে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি, চলছে সিবিআই অভিযান

আলিপুরদুয়ারের তিন জায়গায় সিবিআই হানা।মহিলা সমবায় ঋণদান সমিতিতে দুর্নীতির তদন্তে এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে।এদিন সকালে ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির তদন্তে আমানতকারী তৃপ্তিকণা চৌধুরীর বাড়িতে…

আলিপুরদুয়ারের তিন জায়গায় সিবিআই হানা।মহিলা সমবায় ঋণদান সমিতিতে দুর্নীতির তদন্তে এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে।এদিন সকালে ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির তদন্তে আমানতকারী তৃপ্তিকণা চৌধুরীর বাড়িতে পৌঁছালো সিবিআই। এই সমিতির চেয়ারম্যান উপাসনা সেনগুপ্ত-সহ মোট পাঁচজন ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।তারপর কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে নতুন করে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেয় আদালত।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে, ২০০০ সাল থেকে এই সমবায় সমিতির শুরু হয়। এলাকার মহিলাদের ঋণ দিত এই সমিতি। মূলত এই সমিতিতে এলাকার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলা সদস্যরাই টাকা রাখতেন। সমবায় সমিতিতে কম করে প্রায় ২২ হাজার আমানতকারী রয়েছেন। অভিযোগ, ২০১৮-১৯ সালে এই সমবায় ঋণদান সমিতিতে চূড়ান্ত বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। অনেক আমানতকারীর টাকা আত্মসাৎ করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকার অঙ্কটা সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি!

এই মামলায় প্রথমে তদন্ত শুরু করে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। পরে মামলা যায় সিআইডি-র হাতে। সমিতির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলা সিবিআই-কে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই মামলায় এফআইআর দায়ের করে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। সিবিআই তদন্ত নিয়ে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট সিবিআই-কে জানিয়ে দেন, “আপনারা আপনাদের মতো তদন্ত করুন।” তারপরই গ্রামে অভিযান সিবিআই-এর প্রতিনিধি দলের।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার সিবিআই-এর দুই প্রতিনিধি দল আমানতকারী কল্পনা দাস সরকারের বাড়িতে যান। সমিতির বিভিন্ন বিষয়, আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। এবার আর এক আমানতকারী তৃপ্তিকণা চৌধুরীর বাড়ি পোঁছালো সিবিআই।