৬৭৫ পরিবারের ১ জন করে সদস্যদের ফরেস্ট ভলান্টিয়ারে নিয়োগ রাজ্যের

CM Mamata Banerjee

২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ২৪ মে পর্যন্ত দীর্ঘ ১৩ বছরে রাজ্য জুড়ে বন্যপ্রাণী হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৬৭৫ জনের৷ এবার মৃতদের পরিবারে কথা ভেবে নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্য৷ নতুন বছরে ৬৭৫ পরিবারের একজন করে সদস্যদের ফরেস্ট ভলান্টিয়ারে চাকরির কথা জানাল রাজ্য৷

Advertisements

ইতিমধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে বনদফতর৷ রাজ্যের একাধিক জেলার ওই পরিবারের একজন করে সদস্যকে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে৷ চুক্তিভিত্তিক এই কাজে ফরেস্ট ভলান্টিয়াররা জঙ্গল এবং বন্যপ্রাণ রক্ষায় মূলত কাজ করবেন৷ তবে এই কাজ ছাড়াও রেঞ্জ বা বিটের অন্যান্য কাজও তাঁদেরকে করতে হতে পারে৷ আপাতত মাসিক ১২ হাজার টাকা বেতন মিলবে৷ তবে তাদের ইউনিফর্ম কি হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি৷

বন্যপ্রাণ হামলায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রয়েছে উত্তরের জেলা আলিপুরদুয়ার৷ ওই জেলায় মোট ১৬৩ জন ফরেস্ট ভলান্টিয়ারের চাকরি পাবেন৷ এছাড়াও ঝাড়গ্রামে ৯৯, কালিম্পং-এ ৮, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫৯, হুগলিতে ১, মালদহে ১, মুর্শিদাবাদে ১, উত্তর ২৪ পরগনায় ১, কোচবিহারে ৪, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩৯, পুরুলিয়ায় ২৯, পূর্ব বর্ধমানে ৬, পশ্চিম বর্ধমানে ৫, বাঁকুড়ায় ৭৮, দার্জিলিং-এ ৬০, জলপাইগুড়িতে ১১৩, বীরভূমে ৮ জন চাকরি পাবেন৷

Advertisements

হাতির হামলায় ৫৮৬ জন, বাঘের হামলায় ৩৩, গৌর হামলা ২৬, লেপার্ডের হামলায় ১০, কুমিরের হামলায় ৭, বন্য শূকরের হামলায় ৫, রাইনো হামলা ২, হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ারের হামলায় ১, হায়না হামলায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ রাজ্যের বনবিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা বলেন, “বন্যপ্রাণ হামলায় মৃতের পরিবারের আর্থিক ক্ষতিপূরণ তো রয়েছে৷ এছাড়াও রাজ্য সরকার ওই পরিবারের একজন করে সদস্যকে ফরেস্ট ভলান্টিয়ারের কাজ দেওয়া হবে৷’’