বাংলার সংস্কৃতি যাত্রার ঝাড়বাতি নিভুনিভু

অনলাইন ডেস্ক, বাঁকুড়া:  কলকাতার চিৎপুরের পাশাপাশি গ্রামীণ বা শৌখিন যাত্রাপালার অন্যতম পীঠস্থান লালমাটির জেলা বাঁকুড়া। আগে শারদোৎসবের সময় থেকে নাওয়া-খাওয়ার সময় পেতেন না কলাকূশলীরা। গ্রামে…

অনলাইন ডেস্ক, বাঁকুড়া:  কলকাতার চিৎপুরের পাশাপাশি গ্রামীণ বা শৌখিন যাত্রাপালার অন্যতম পীঠস্থান লালমাটির জেলা বাঁকুড়া। আগে শারদোৎসবের সময় থেকে নাওয়া-খাওয়ার সময় পেতেন না কলাকূশলীরা। গ্রামে গ্রামে বসত যাত্রা আসর। টিভি মোবাইল দাপট কাটিয়ে যাও বা ছিল করোনার হামলায় সেটাও গেছে।

কর্মহীন হয়ে পড়েছেন জেলার যাত্রা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। শৌখীন যাত্রাপালার জন্য আলো, পোশাক, যন্ত্রানুসঙ্গ, মহিলা শিল্পী সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত মানুষ গুলির অবস্থা খুবই শোচনীয়।

অনেক উচ্চমানের শিল্পী পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন। অনেক আশা নিয়ে মৃতপ্রায় শিল্পকে আকড়ে বসে আছেন কয়েকজন। শিল্পীদের পোশাক ধুলো ঝেড়ে তুলে রাখেন নির্দিষ্ট জায়গায়। আশায় থাকেন হয়তো সুদিন ফিরবে।

দীর্ঘ দিন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মেলেনি ‘শিল্পী’ পরিচয়, মেলেনি সরকারী শিল্পীভাতা। আবারো গ্রামে গ্রামে বসবে যাত্রার আসর। কিন্তু তা আদৌ হবে কি?