কখনও বাউল গান তো কখনও রবীন্দ্র সঙ্গীত- বাংলা থেকে দূরে থাকলেও বাঙালি নিজের সংস্কৃতি ভুলে থাকতে পারে না, সে কথা বারেবারে প্রমাণ করে দিচ্ছেন বজবজের এক কন্যে। কথা হচ্ছে অনন্যা চক্রবর্তীর, বাপ্পি লাহিড়ি থেকে জিনাত আমান হোক বা শাহিদ কাপুরস সারেগামাপা-র মঞ্চে অন্যার গান শুনে মুগ্ধ হয়েছেন সকলে।
ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় সিঙ্গিং রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’-য় বারবার নজর কাড়ছে বাংলা। অনন্যা চক্রবর্তী কারও থেকে কম যান না। যে কণ্ঠের জাদুতে গোটা বাংলাকে নাচিয়েছিলেন এবার সেই জাদু দিয়েই মোহিত করলেন জি টিভির গানের রিয়েলিটি শো সা রে গা মা পার বিচারকদের।
বজবজের মেয়ে অনন্যা গ্রাম বাংলার সনাতনী বাউল গানে মুগ্ধ করেছিল বিচারক থেকে শ্রোতাদের। বাংলা সা রে গা মা পা -তে তাঁর উদাত্ত কণ্ঠ এক অন্য আমেজ তৈরি করত মঞ্চে। জাতীয় স্তরের মঞ্চেও বাংলার বাউল গানকেই পেশ করলেন অনন্যা। হাতে একতারা ‘লুটেরা’ ছবির ‘মনটা রে’ গানটিকেই নিজের মতো করে গাইলেন তিনি। জুরিদের থেকে ১০০ শতাংশ ভোট তো বটেই, বিচারকদের আসনে শঙ্কর মহাদেবন, হিমেশ রেশমিয়া ও বিশাল দাদলানিও মুগ্ধ হয়ে যান অনন্যার কণ্ঠস্বরে।
তবে আগের থেকে সম্পূর্ণ অন্য লুকে দেখা গেল অনন্যাকে। লম্বা চুলে বিভিন্ন রঙের বিনুনি করে বোহো লুকে ধরা দিলেন তিনি। জি টিভির অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের দৌলতে অনন্যার গান এখন ভাইরাল।
বাংলা সা রে গা মা পার মঞ্চে দাঁড়িয়েই অনন্যা জানিয়েছিলেন তাঁর গানের জগতে আসার কাহিনি। বাউল মেলায় ঘুরতে ঘুরতে বর্ধমানের আন্দুলে সাধনদাস বৈরাগীর আশ্রমে চলে এসেছিলেন তিনি। বাউল গানকেই ভালবেসে ফেলেছিলেন অনন্যা। পড়াশোনা করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোকাল মিউজিক নিয়ে। বাংলার মতো জাতীয় স্তরের মঞ্চেও অনন্যা যে একদিন বাঙালির মুখ উজ্জ্বল করবে একথা বলাই বাহুল্য।