সিপিআইএম ধাঁচে আন্দোলন করবে ‘সংগঠনহীন’ বিজেপি

শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ জারি রেখেছে (CPIM) বাম শিবির৷…

After by election defet local bjp leders attacks sate leaders

শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ জারি রেখেছে (CPIM) বাম শিবির৷ বিভিন্ন জেলায় তৃণমূল ছেড়ে বাম শিবিরে যোগদান বাড়ছে। উৎসবের আগে কলকাতায় দুটি একটি কর্মসূচি বাম কর্মীদের মনোবলে ঝাঁকুনি দিচ্ছে৷ সাড়াও মিলছে ব্যাপক৷ এসবের মাঝে প্রধান বিরোধী দল (BJP) বিজেপি ‘ছন্নছাড়া’। এমন হাল যে নিজেদের দুর্গাপূজা পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে হলো। জেলাভিত্তিক সংগঠন নেই তা স্বীকার করে নতুন উদ্যমে ঝাঁপাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি

বিজেপির লক্ষ্য উগ্রমূর্তির বাম আন্দোলনকে নকল করে সরকার বিরোধী ভূমিকা ধরে রাখা। সূত্রের খবর, কালীপুজোর পরেই এই কর্মসূচি শুরু করবে তারা।

  • জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীরা গোপনে তৃণমূলে জড়িয়েছেন। রিপোর্ট পাচ্ছেন সুকাম্ত-দিলীপরা।
  • কলকাতায় নিজেদের দুর্গাপূজা বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি।

বিস্তারিত পড়ুন: 

বিজেপি অন্দরের খবর, বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ শাসক দলের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেই এই সময় আন্দোলন কর্মসূচিতে নামতে হবে। জেলায় জেলায় জেলাশাসক ও মহুকুমা শাসকের দফতর ঘেরাও করে চলবে বিশেষ কর্মসূচি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বৈঠক ডেকেই শুরু হবে কাজ।

বিজেপি সূত্রে খবর, একেবারে বুথ স্তর থেকে জেলাস্তরের কর্মীদের চাঙ্গা করাই প্রধান লক্ষ্য৷ বৈঠকের মাধ্যমে রাজ্যের একাধিক নেতাদের জেলার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে৷ এই মাসের শেষ সপ্তাহেই বৈঠকে সমস্ত কর্মসূচি ঠিক করে নেওয়া হবে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক দলের একাধিক নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করতে চায় বিরোধীরা। এটাই শাসক দলকে ব্যাকফুটে ফেলে দেওয়ার প্রধান অস্ত্র বলে মনে করছেন তারা৷ তাই পুজোর মরশুম কাটলেই আরও একবার পার্থ ও অনুব্রতদের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করবে সমস্ত পক্ষই৷ যদিও আগে থেকেই জেলায় জেলায় ঝাঁঝ বাড়িয়ে রেখেছে বামেরা। অন্যদিকে, সংগঠনকে মজবুত করে ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাঁপাতে চায় বিজেপিও৷