Ukraine Crisis: ‘সূচ্যগ্র মেদিনী’ দিতে অস্বীকার, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফুঁসছে ইউক্রেন

ইউক্রেনের দুই রুশপন্থী অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করেছে রাশিয়া। আর কারপরই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মঙ্গলবার ভোরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাশিয়াকে…

ইউক্রেনের দুই রুশপন্থী অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করেছে রাশিয়া। আর কারপরই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মঙ্গলবার ভোরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাশিয়াকে তিনি শান্তি প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করার জন্য দায়ী করেছেন। রাশিয়ার স্বাধীন ঘোষণা করা অঞ্চল ছেড়ে যেতেও অস্বীকার করেছেন তিনি।

ঘটনাটিকে ইউক্রেন সঙ্কটকে ত্বরান্বিত করার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন করেছে জেলেনেস্কি। তাঁর আশঙ্কা এর ফলে পশ্চিমের দেশগুলি বড় যুদ্ধ শুরু করতে পারে। ইউক্রেনের সার্বভৌম ভূখণ্ড লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়ার দিকে আঙুল তোলেন তিনি। বলেন যে পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘাতের অবসানের লক্ষ্যে মিনস্ক শান্তি আলোচনায় বাধা দিচ্ছে মস্কো। ইউক্রেন কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধান করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁরা এভাবেও সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত।

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি বলেছেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ এবং কূটনৈতিক পথে বিশ্বাসী। আমরা এটাই অনুসরণ করব। কিন্তু আমরা আমাদের মাটি কাউকে দেব না। আমরা কাউকে ভয় করি না। কাউকে কিছু দেব না।” ইউক্রেনের মিত্রদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি ইউক্রেন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের নেতাদের জরুরি শীর্ষ বৈঠকের আহ্বান জানান।

আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইউক্রেনের দুই রুশপন্থী অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করেছে রাশিয়া।রাশিয়ার টিভি চ্যানেলে এক দীর্ঘ ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অবিলম্বে দোনেৎস্ক এবং লুগানস্কের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।’ কূটনৈতিক মহলের আশঙ্কা, এই পদক্ষেপের ফলে ইউক্রেন সরকারের সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্ঘাত সম্ভাবনা আরও বাড়ল।