সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন ইউক্রেনীয় যুবক সের্গেই। তার ছবি থেকে বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করেছেন রয়টার্সের সাংবাদিকরা। ছবি থেকে স্পষ্ট, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দিয়ে রুশ সেনার প্রবেশ ও রাজধানী শহর কিয়েভের পতন নিশ্চিত। (Ukraine War)
সের্গেই লিখেছেন, লক্ষাধিক ইউক্রেনীয় এখন কিয়েভ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কিয়েভ ঘিরে একটি সংঘর্ষ হবে বলেই আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সড়কের ধারে বিস্ফোরক মজুত করছে ইউক্রেনের সেনা।
সের্গেই কিয়েভ ছাড়ার আগে যে ছবি দিয়েছেন তাতে স্পষ্ট কিয়েভবাসী জীবন বাঁচাতে সরে যাচ্ছেন। বড়বড় সড়কগুলিতে তীব্র যানজট। সের্গেই আতঙ্কিত, তিনি লিখেছেন, যদি রুশ সেনার হাতে বন্দি হই তাহলে ওরা কি আমাকে গুলি করে মারবে? রাশিয়ায় তো আমার ঠাকুমা থাকেন। তাঁর জন্য কষ্ট হচ্ছে খুব।
সের্গেইয়ের এই কথা ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ একটি এমন দিক তুলে ধরে যার সঙ্গে রাশিয়ার গভীর সংযোগ। কমিউনিস্ট সোভিয়েত ইউনিয়নের জমানার দুটি অঙ্গ প্রদেশ ছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। পরে সোভিয়েত পতন হয়। অন্যান্য প্রদেশগুলির মতো ইউক্রেন আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। সেই ইউক্রেন ও রাশিয়া জুডে লাখ লাখ মানুষ আত্নীয়।
ইউক্রেনের রুশভাষী অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে রাশিয়ার অভিযানে এমন সব পরিবার আরও বেশি অসহায়। যেমন সের্গেই। তিনি রাশিয়ায় যেতেন ঠাকুমাকে দেখতে। সোভিয়েত জমানার সেই বৃদ্ধা ১৯৯১ সাল থেকে রাশিয়ার নাগরিক। তাঁর আত্মজরা কয়েকজন ইউক্রেনের নাগরিক। সের্গেই তেমনই একজন।
সের্গেইয়ের ছবি ব্যবহার করছে kolkata24x7.in তার অনুমতি না নিয়েই। কারণ, কিয়েভ থেকে চলে যাওয়ার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
এদিকে এএফপি জানাচ্ছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোয়েন্দা সদর দফতরের ভবন থেকে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। দেশটির রাজধানী কিয়েভের এই সদর দফতর অবস্থিত। সেখানে রুশ বিমান বাহিনী হামলা করেছে। রয়টার্স বলছে, গোয়েন্দা সদর দফতরের ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। গোয়েন্দা সদর দফতরের পাশের এক ভবনের আগুন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। যে কোনও মুহূর্তে কিয়েভের পতন হতে পারে।