পূর্বতন সেভিয়েত ইউনিয়নের ‘রুটির ঝুড়ি’ ও সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ইউক্রেনের সঙ্গে সোভিয়েতেরই অপর অঙ্গরাজ্য রাশিয়ার সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। সেই রেশ ধরে দুই দেশের মধ্যে সীমাম্ত সংঘর্ষের পরিস্থিতি চরমে পৌঁছে গেছে। রাশিয়ার তরফে হামলা নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেন জুড়ে তৈরি হচ্ছে অচলাবস্থা। এই অবস্থায় দেশটির প্রেসিডেন্ট বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ‘ঐক্য দিবস’ পালন ঘোষণা করলেন।
জার্মান গোয়েন্দার বিভাগের আশঙ্কা, ১৬ ফেব্রুয়ারি হামলা শুরু করতে চলেছে রুশ সেনা। তাদের সঙ্গে থাকবে বেলারুশ সেনা। এই দেশটিও পূর্বতন সোভিয়েতের অঙ্গ ছিল। সোভিয়েত অবলুপ্ত হতেই ইউক্রেন ও রাশিয়া আলাদা রাষ্ট্র হয়।
বিবিসি জানাচ্ছে, ইউক্রেনের মধ্যে সীমান্ত এলাকার বড় অংশের বাসিন্দাদের রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য প্রবল। এর কারণে আগে যখন সংঘর্ষ হয়েছিল রাশিয়ার ছিল অ্যাডভান্টেজ।
এবার কী হবে?
জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়েচভেল জানাচ্ছে, বুধবার রাশিয়ার হামলা হতে পারে। জার্মান গোয়েন্দা বিভাগ এমনই সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে বার্লিনে। এই সংবাদে বিশ্বজোড়া আলোড়ন। রিপোর্টে বলা হয়েছে ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ফক্স নিউজের রিপোর্ট, বেলারুশের মতো নিজেদের পছন্দের সরকার ইউক্রেনে দেখতে চায় রাশিয়া। সেই কারণে ইউক্রেনকে অনবরত ভীতি প্রদর্শন করে চলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইউক্রেন এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠ।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানাচ্ছে, ইউক্রেনকে নিরাপত্তা দিতে সে দেশে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তাঁর সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কূটনৈতিক আলোচনা ব্যার্থ হয়েছে।
রয়টার্স জানাচ্ছে, সম্ভাব্য হামলার দিন বুধবার এটা ধরে নিয়েই ইউক্রেন সরকার ১৬ ফেব্রুয়ারি ‘ঐক্য দিবস’ পালনের ঘোষণা করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নির্দেশে সবার বাড়িতে বাড়িতে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হবে। জাতির উদ্দেশ্যে ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তারা বলছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি হামলা হবে। আমরা এটিকে ঐক্যের দিন হিসেবে পালন করবো।’
ব্রিটেন সরকার ধরেই নিয়েছে, রাশিয়ার সেনা ইউক্রেনে হামলা শুরু করবে। ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, সরকার নিশ্চিত ইউক্রেনে সম্ভাব্য হামলা আসন্ন। তিনি ব্রিটিশ নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশ দেন।