Ukraine Crisis: বিশ্বকে চমকে দিয়ে বিনা নোটিশে সেনা সরাচ্ছে ব্রিটেন

ইউক্রেন থেকে সেনা পরত্যাহার করে নিয়ে বিশ্বকে কার্যত চমকে দিল ব্রিটেন। কারণ হরিস জনসনের প্রশাসন কোনও নোটিস ছাড়াই ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কার্যত…

ইউক্রেন থেকে সেনা পরত্যাহার করে নিয়ে বিশ্বকে কার্যত চমকে দিল ব্রিটেন। কারণ হরিস জনসনের প্রশাসন কোনও নোটিস ছাড়াই ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কার্যত আমেরিকা ও রাশিয়ার এই ঠান্ডা যুদ্ধে কুটনৈতিক অবস্থানে স্থির থাকার সিদ্ধান্ত নিল ব্রিটেন।

ইউক্রেনে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত মেলিন্ডা সিমন্স টুইটারে বলেন, “আমি কিয়েভে আছি। সেখানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। দূতাবাস চালু রয়েছে।” ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস শুক্রবার বলেছেন, প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছিল ব্রিটিশ সেনা। তারা শীঘ্রই ফিরে আসবে।ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস হেপ্পি তো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “রাশিয়ার সঙ্গে কোনো বিরোধ হলে ইউক্রেনে কোনো ব্রিটিশ সেনা থাকবে না।” পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন, ইউক্রেনে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকদের সামরিক সাহায্যের আশা করা উচিত নয়। ব্রিটিশ নাগরিকদের অবিলম্বে উক্রেন ত্যাগ করা উচিত।

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে আমেরিকা। নরমে গরমে মস্কোকে আগেই সতর্ক করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাবধান করে দিয়েছিলেন ভ্লাদিমির পুতিনকে- আমেরিকাও ছেড়ে কথা বলবে না। মার্কিনি হুমকিতে কতোটা কাজ হয়েছে সে ব্যাপারে প্রশ্ন থাকছে। কারণ পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশে নতুন করে সেনা সাজিয়েছে রাশিয়া। আমেরিকার পক্ষ থেকে ‘ যে কোনো মুহূর্তে হামলা হতে পারে ‘ বলা হলেও কূটনৈতিকরা পাচ্ছেন অন্য গন্ধ। বন্দুকের নল দেখিয়ে ইউক্রেনকে চাপে রাখতে চাইছে মস্কো। মনে করছেন বোদ্ধাদের একাংশ। কারণ ওডিসি সাগরে রয়েছে সেনা প্রদর্শনী। ওডিসি সাগর ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া। সে কারণেও রণসাজে নিজেদের সজ্জিত করতে পারে রাশিয়া। এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।