Travel : রেশম পথের ধারে পেডং পাহাড়, সেখানে আছে ফুলবাহার

কালিম্পংয়ের কাছে ছোট্ট জনপদ পেডং (Pedong)। করোনা আবহে ফাঁকায় ফাঁকায় ঘুরে আসার একেরবারে মোক্ষম জায়গা যাকে বলে।

Travel

জানলা খুললেই রাশি রাশি পাহাড়। ছোট ছোট কাঠের বাড়ির বারান্দা ভরা রং বেরঙের ফুল। আল কাটা সরু রাস্তা দন্ডি বেয়ে উঠে গেছে। প্রকৃতি যেন সব সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে এখানে (Travel)। কালিম্পংয়ের কাছে ছোট্ট জনপদ পেডং (Pedong)। করোনা আবহে ফাঁকায় ফাঁকায় ঘুরে আসার একেরবারে মোক্ষম জায়গা যাকে বলে।

পেডং যে শুধু ছোট্ট একটা জনপদ তাই নয় এর গুরুত্বও রয়েছে। পেডংয়ের কাছ দিয়েই চলে গিয়েছে ওল্ড সিল্ক রুট। ওল্ড সিল্ক রুটের সুবাদেই মিলবে অসংখ্য পুরনো চার্চ আর বৌদ্ধ গুম্ফার। আবার চা বাগানও রয়েছে এখানে অনেক। অপার সৌন্দর্য এই একটি ছোট্ট জায়গার মধ্যে থাকলেও পাহাড়ের রানির মত জৌলুজ এবং জাঁকজমক নেই কেবল।

   

সেকারণে বড় হোটেল-বহুতল এখানে নেই। রয়েছে ছোট ছোট হোমস্টে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অতিথিদের সেবায় নিয়োজিত তাঁদের প্রাণ। কনকনে ঠান্ডায় গরম গরম দার্জিলিং টি,গরম কফি থেকে শুরু করে সকালের ধোঁয়া ওঠা ব্রেকফাস্টে ব্রেড অমলেট,পুরি তরকারি কোনও কিছুরই অভাব রাখবেন না তাঁরা। সেই সঙ্গে দুপুরে ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত সবই রয়েছে। চিকেন, স্যালাড। আর কি চাই। রসনা তৃপ্তির সব উপকরণই দিয়ে দেবেন পেডংয়ের হোম স্টে গুলির বাসিন্দারা।

কালিম্পং থেকে আলগরা হয়ে যেতে হয় পেডংয়ে। উচ্চতা চার হাজার ফুটের থেকে সামান্য বেশি। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে কনকনে ঠান্ডা কাঁপিয়ে দেবে। বছরের অন্যান্য সময় বেশ আরামদায়ক আবহাওয়া থাকে। খুব গরমও নয় আবার খুব ঠান্ডাও নয়। মার্চ-এপ্রিল মাসে পেডং সবচেয়ে মনোরম হয়ে ওঠে। রংবেরঙের ফুল আর পাতা বাহারি গাছে ভরে যায় পেডং।

কাজেই করোনার দাপট একটু কমে গেলেই অনায়াসেই ৫ দিনের ছোট্ট ট্যুরের ডেস্টিনেশন হয়ে উঠতে পারে পেডং। তবে তার জন্য হোমস্টে-র বুকিং আবশ্যিক। খোঁজ নিতে অবশ্য গুগলই ভরসা।