Bangladesh: ভারত থেকে পলাতক এটিএম কার্ড ক্লোনিং চক্রের চাঁই ধৃত ঢাকায়

ভারতীয় পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে আসা আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড ক্লোনিং স্ক্যামিং চক্রের চাঁইকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ(Bangladesh) পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। ঢাকা…

ভারতীয় পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে আসা আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড ক্লোনিং স্ক্যামিং চক্রের চাঁইকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ(Bangladesh) পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

ঢাকা মহনাগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মহম্মদ ফারুক হোসেন এই তথ্য জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, ধৃত ব্যক্তি তুরস্কের নাগরিক। তার নাম হাসান জানবুলকার। সে বিভিম্ন দেশে এটিএস কার্ডের ক্লোন করেছে। সম্প্রতি সে ধরা পড়েছিল ভারতে। তবে ভারতীয় পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ এসেছিল।

সিটিটিসি জানিয়েছে আটক ব্যক্তি জানবুলকারের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড সহ ৩৬টি দেশে এটিএম হ্যাকিংয়ের ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে। ২০১৯ সালে হাসান জানবুলকার ভারতে ধরা পড়ে।

অসম থেকে নেপাল হয়ে পালিয়েছিল জানবুলকার

ঢাকা মহানগর পুলিশ জানাচ্ছে, ২০১৯ সালে অসমের পল্টন বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল অসমের পুলিশ। জেলে থাকার সময় অসুস্থ হয় আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড হ্যাকার জানবুলকার। তাকে ২০২১ সালে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে পালিয়ে যায়। এরপরে তার অবস্থান আর নিশ্চিত করতে পারেরি ভারত সরকার।

ঢাকা মহানগর পুলিশ জানাচ্ছে, আগরতলার হাসপাতাল থেকে পালানোর পর এটিএম হ্যাকার হাসান জানবুলকার সিকিম হয়ে নেপালে গোপনে প্রবেশ করেছিল। কাঠামান্ডু থেকে ‘আউট পাস’ সংগ্রহ করে হাসান জানবুলকার ফিরে গেছিল তুরস্কে। নতুন পাসপোর্ট নিয়ে সে ফের জালিয়াতিতে নেমে পড়ে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে খবর, হাসান জানবুলকার একাধিক পাসপোর্টের অধিকারী। সে বাংলাদেশে ঢুকে তার এখানকার সাগরেদদের নিয়ে এটিএম কার্ড ক্নোনিং কারবার শুরু করে। তার এক সাগরেদ ধরা পড়েছে। সম্প্রতি সে ঢাকায় একাধিকবার এটিএম কার্ড ক্লোন করে টাকা তোলার চেষ্টা করে। বিভিন্ন এটিএমের এলার্ট মেসেজ আসার পর তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। তার পরেই গ্রেফতার করা হয়।