Travel: ট্রেকিং লাভারদের জন্য দারুণ ডেস্টিনেশন

Travel: ট্রেকিং-এর মূল মন্ত্রই হল মনের জোর আর তীব্র পাহাড়প্রেম। আর একবার যাকে ট্রেকিং-এর নেশা ছুঁয়েছে, তার পক্ষে এই আকর্ষণ এড়ানোর কোনও উপায় নেই। তাই…

beautyful-destination-for-trekking-lovers

Travel: ট্রেকিং-এর মূল মন্ত্রই হল মনের জোর আর তীব্র পাহাড়প্রেম। আর একবার যাকে ট্রেকিং-এর নেশা ছুঁয়েছে, তার পক্ষে এই আকর্ষণ এড়ানোর কোনও উপায় নেই। তাই যারা ট্রেকিং করতে ভালবাসেন তাঁদের জন্য রইল সুন্দর এক ডেস্টিনেশন।

তুঙ্গনাথ হল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৬৮০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিবমন্দির। এটি পঞ্চকেদার-এর অন্তর্ভুক্ত একটি কেদার তীর্থ।  মন্দাকিনী এবং অলকানন্দা নদীর উপত্যকায়, উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে অবস্থিত তুঙ্গনাথ। তুঙ্গনাথ যাত্রা শুরু করতে হবে চোপতা টাউন থেকে। চোপতায় থাকতে পারেন একটি দিন। এখানে সাধারণ হোটেল বেশ কিছু পেয়ে যাবেন। তবে আপনার অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মন যদি অন্যরকম কিছু খোঁজে, তাহলে শহর থেকে ২-৪ কিলোমিটার দূরে ক্যাম্পে থাকতে পারেন। এখানে হাই-এন্ড ক্যাম্পিং ফেসিলিটি পাবেন। চোপতা রুদ্রপ্রয়াগ থেকে কর্ণপ্রয়াগের দিকে ৬৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। হৃষীকেশ থেকে দেবপ্রয়াগ, শ্রীনগর এবং রুদ্রপ্রয়াগ হয়ে পৌঁছাতে হোবে চোপতায়। বাস, রেন্টাল কার বা শেয়ার জিপও পাবেন। আপনি হরিদ্বার অথবা হৃষীকেশ থেকেও সরাসরি গাড়ি বুক করে চলে আসতে পারেন উখীমঠে। এখানে থেকে যান একটি দিন। ছোট্ট বিশ্রামের পর, পরের দিনই ট্রেক শুরু।

   

তুঙ্গনাথ মন্দির যাত্রার পথটি খুব সুন্দর করে বাঁধানো। তবে তুষার থাকলে ওই পথে গ্রিপ হারিয়ে স্লিপ করার সম্ভবনা রয়েছে। তবে বছরের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস ছাড়া এ সম্ভবনা নেই। সাধারণত বয়স্ক এবং শিশুদের জন্যও এই পথ সম্পূর্ণ নিরাপদ। পুরো যাত্রাপথ এবং তুঙ্গনাথ মন্দিরের নিসর্গ ভারি মনোরম। হাঁটতে হাঁটতে কত যে জানা-আজানা পাখি নজরে আসবে তার ইয়ত্তা নেই। মন যেন চাইবে পাখির মতোই উড়ে যেতে। পাহাড়ের যে কন্দরে, যে অগম্য বাঁকে মানুষ পৌঁছাতে পারে না, সেখানেও যেতে পারে এই উজ্জ্বল পাখির ঝাঁক।

তুঙ্গনাথ মন্দিরের বেস্ট ভিউ পেতে গেলে অবশ্য সকাল সকাল পৌঁছানো চাই। টপে পৌঁছানোর সবচেয়ে ভালো সময় হল সকাল ৭-৮টা। সূর্য যত ওপরে উঠবে, ততই দৃষ্টি আড়াল করে মেঘ এসে পড়বে প্রায়শই। সুতরাং আপনি হাঁটা শুরুই করবেন খুব ভোর ভোর। তুঙ্গনাথ পৌঁছে সকালের মিঠে রোদ গায়ে মেখে চোখ মেলুন চারিদিকে। রূপসী পৃথিবীর মায়া-কুহক মুহূর্তে আছন্ন করবে আপনাকে। তুঙ্গনাথকে ঘিরে থাকা চৌখাম্বা, নন্দাদেবী, নীলকণ্ঠ কেদারনাথ শৃঙ্গ খুব কাছ থেকে ধরা দেবে আপনার দৃষ্টিপথে। এইরকম উন্মুক্ত, উদার, উদাসী তপস্বীর উদাসীনতায় মগ্ন হিমালয়ের অপরূপ সৌন্দর্য মুহূর্তে মুছে দেবে জীবনের চেনা ছন্দ ও একঘেয়েমি। তাই জীবনের সংকীর্ণতাগুলো মুছে ফেলতে এভাবেই বেরিয়ে পড়ুন মায়াপাহাড়ের টানে।