Tripura: পথ অবরোধে সিপিআইএম, ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার

ত্রিপুরায় (Tripura) তিনি টানা কুড়ি বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এখন বিরোধী দলনেতা। প্রটোকল না মেনেই রাস্তায় অন্য ভূমিকায় মানিক সরকার। তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের পথ অবরোধে…

ত্রিপুরায় (Tripura) তিনি টানা কুড়ি বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এখন বিরোধী দলনেতা। প্রটোকল না মেনেই রাস্তায় অন্য ভূমিকায় মানিক সরকার। তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের পথ অবরোধে আটকে থাকা অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য গাড়ি কে চলে যাওয়ার জন্য জায়গা করে দিচ্ছেন।

এমন অভিনব দৃশ্যে হতবাক খোদ সিপিআইএম নেতা সমর্থকরাও। কারণ উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাজনৈতিক হামলা ও হিংসাত্মক পরিস্থিতি চলছে ত্রিপুরা জুড়ে। বিরোধী দল সিপিআইএমের নেতা সমর্থকদের বাড়ি দোকান ভাঙচুর চলছে। হামলায় অভিযুক্ত শাসক বিজেপি।

হামলা হয়েছে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে। রাজ্যের অন্যত্র কংগ্রেস সমর্থকরাও আক্রান্ত। প্রতিক্ষেত্রে অভিযুক্ত শাসক বিজেপি।

উপনির্বাচনে চারটি আসনে ফলাফল ঘোষণার পর হিংসাত্মক পরিবেশ তৈরির বিরুদ্ধে ত্রিপুরা জুড়ে চলছে বিরোধী দল সিপিআইএমের বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ। দলীয় কর্মসূচি মেনে বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার রাস্তায় নামেন।

সিপিআইএমের অভিযোগ, বিজেপির হামলায় আগরতলার সংলগ্ন কুঞ্জবন এলাকায় বামপন্থী সমর্থকদের দোকান ভেঙে পড়েছে। উত্তেজিত সিপিআইএম সমর্থকরা ভাঙা দোকানের টিনের চালা রাস্তায় ফেলে অবরোধ করছিলেন।

অবরোধ চলার সময় অ্যাম্বুলেন্স হাজির হয়। অবরোধকারীদের মাঝখান থেকে রাস্তায় নেমে পড়েন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। সমর্থকরা হতবাক। নিরাপত্তা রক্ষীরা হতচকিত হয়ে যান। প্রবীণ মানিকবাবু রাস্তায় নেমে ট্রাফিক পুলিশের মতো ভূমিকা নেন। তিনি অ্যাম্বুলেন্স সহ বিভিন্ন গাড়ি পারাপার করেন। তাঁর এমন গাড়ি পারাপার ঠিক যেন অভিজ্ঞ ট্রাফিক সার্জেন্টের মতো।

টানা কুড়ি বছরের মুখ্যমন্ত্রীকে এমন অবস্থায় দেখে গাড়ি চালকরাও হতবাক হয়ে যায়। পরে ফের অবরোধে সামিল হন তিনি।