উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে ভোট দেওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে। শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ বাতিলের জন্য আগেই লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এবার দিব্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও একইভাবে পদক্ষেপ করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর।
এবিষয়ে দুই সাংসদকে চিঠি দিয়েছেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ৪ অগস্ট জানানো হয়েছিল যে দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকবেন। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, আপনি উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। ৪ তারিখ লিখিত ভাবে দেওয়া নির্দেশ কেন আমান্য করা হল, তার কারণ জানাতে হবে।
দুই সাংসদকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে তৃণমূল? এমনিতেই বারবার দুই সাংসদদের দল থেকে বহিষ্কারের দাবি করা হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল থেকে। তবে এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলেই ধরা হবে। বিজেপি থেকে আসা বিধায়কদের বিরুদ্ধে শুভেন্দু পদক্ষেপ নিতেই বারবার পরিবারের কথা তুলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতারা। কারণ, খাতায় কলমে তৃণমূলের বিধায়ক দু’জনেই। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেছে শিশির অধিকারীকে। এমনকি গত বিধানসভা নির্বাচনে অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীর সভায় দেখা গেছে তাঁকে।
<
p style=”text-align: justify;”>এবিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি কলকাতা ২৪x৭ কে বলেন, তাঁরা দল বিরোধী কাজ করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে৷ লোকসভায় তাঁদের সদস্যপদ খারিজের দাবিতে আবেদন করা হয়েছে, কিন্তু বিজেপিকে যেহেতু ভোট দিচ্ছে তাই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া হোক৷ এরপর দল যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেবে।