তৃণমূলের সবাই চোর নয়: ফিরহাদ

বছরের পর বছর সম্পত্তি বেড়েই চলেছে নেতা মন্ত্রীদের। সেটা নির্বাচন কমিশনের তথ্য থেকে স্পষ্ট হবে৷ ২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে এবিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সুবীর…

বছরের পর বছর সম্পত্তি বেড়েই চলেছে নেতা মন্ত্রীদের। সেটা নির্বাচন কমিশনের তথ্য থেকে স্পষ্ট হবে৷ ২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে এবিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সুবীর ঘোষ নামের এক ব্যক্তি৷ সোমবার সেই মামলার শুনানিতে ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। তাতেই বিরাট অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতারা৷

মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, নির্বাচনী হলফনামায় আয়-ব্যয়ের সব হিসাব দিয়েছি। আয়কর দফতর কোনও পদক্ষেপ করেনি। রোজগার করা, সম্পত্তি বাড়ানো অন্যায় নয়। এটা জনস্বার্থ মামলা নয়, রাজনৈতিক স্বার্থে করা মামলা অমিত শাহের ছেলের কত শতাংশ সম্পত্তি বেড়েছে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, পার্থ যা করেছেন, তাতে আমরা লজ্জিত। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, তৃণমূলের সবাই চোর।

একইসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেন, আদালতের দেওয়া তালিকায় তৃণমূলের নেতাদের পাশাপাশি বাম, কংগ্রেস নেতাদের নামও রয়েছে। ব্রাত্যের অভিযোগ, বাম কংগ্রেসের নেতাদের নাম নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশ টুঁ শব্দ করছে না। উল্টে সংবাদমাধ্যমের একাংশ ‘ক্যাঙারু কোর্ট’ বা ‘খাপ পঞ্চায়েত’ বসাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি নিয়ে।

ব্রাত্য বলেন সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতারা ২ দিন ধরে টানা খারাপ কথা বলে গেলেন। এবং সমাজে তুলে ধরতে চাইলেন, তৃণমূলের লোক মানেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই আমরা তালিকা তুলে দেখালাম আদালতের রায়ে অন্য দলের নেতাদের নামও রয়েছে।

এই ১৯ জনের তালিকায় রয়েছেন, শোভন চট্টোপাধ্য়ায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, অর্জুন সিং, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, স্বর্ণকমল সাহা, ব্রাত্য বসু, অরূপ রায়, জাভেদ খান, অমিত মিত্র, আব্দুর রজ্জাক মোল্লা, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, শিউলি সাহা, সব্যসাচী দত্ত।

এছাড়াও বিরোধী পক্ষের তরফে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারে মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গাঙ্গুলির নাম। এ ছাড়াও আবু হেনা, ফণীভূষণ মাহাত, ধীরেন বাগদি, রূপরানী মণ্ডল, মোহিত সেনগুপ্ত, নেপাল মাহাতের নাম রয়েছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।