মানসিকতায় কোনও পরিবর্তন আনবে না, দাবি বাবুলের

নিন্দুকের কাজই হচ্ছে নিন্দা করা, সেসব বিষয়ে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের কাজ করে যেতে হয়। এটা বেশ প্রচলিত প্রবাদ। আর রাজনীতির ক্ষেত্রে এই প্রবাদের বিশেষ…

TMC leader babul supriyo spoke about troll

নিন্দুকের কাজই হচ্ছে নিন্দা করা, সেসব বিষয়ে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের কাজ করে যেতে হয়। এটা বেশ প্রচলিত প্রবাদ। আর রাজনীতির ক্ষেত্রে এই প্রবাদের বিশেষ প্রচলন রয়েছে। সেই পথেই হাঁটতে চান বালিগঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় (babul supriyo)।

এই বাবুল সুপ্রিয়-র রাজনীতির ময়দানে যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালে বিজেপির হাত ধরে। ওই বছর আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হন তিনি। তারপরে ২০১৯ সালেও তাঁর জয়ের ধারা অব্যাহত ছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন ৎিনি। পরে তৃণমূলে নাম লেখান বাবুল। সেই সময় থেকেই শুরু হয়েছিল সমালোচনা। যার আরও জোরাল হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার পরে।

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকে নিজের গানের সঙ্গে অনবরত যুদ্ধ করতে হচ্ছে সু-গায়ক বাবুলকে। বিজেপিতে থাকতে তিনি গেয়েছিলেন, কালীঘাটের টালির চালা, “ওই চোরেদের পাঠশালা”…”এই তৃণমূল আর না”। ২০১৯ থেকে ২০২২ বাবুল রঙ পাল্টে নিয়েছেন। তিনি প্রকাশ্যে সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছেন। তখন বিজেপির হয়ে একেবারে হার্ড হিটিং হিন্দুত্ববাদী ছিলেন। দল ছেড়ে তৃণমূলী হয়ে মুসলমানি পোশাকে প্রচার করছেন। বালিগঞ্জের উপ নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদী বাবুল থেকে মুসলিম পোশাকের বাবুলকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কটাক্ষ চলছে।

যদিও সেই সকল সমালচনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বাবুল সুপ্রিয়। সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে তিনি বলেন, আসানসোল থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে প্রমাণ করা চেষ্টা হয়েছিল যে তাঁর পারফরমেন্স খারাপ। তিনি মাথা উঁচু করে থাকার লোক। তাই মেনে নেননি। সরে এসেছেন। এখন পুরনো কথাতে পাত্তা না দিয়ে সামনের দিকে তাকাতে চান তিনি। কারণ নিন্দা তাঁর মানসিকতায় কোনও পরিবর্তন আনবে না।

গত বছর বিজেপির প্রার্থী হিসাবে টালিগঞ্জ থেকে ২২ মার্চ মনোনয়ন জমা দিয়েছিলে বাবুল সুপ্রিয়। মাঝে একটা বছর। তার মধ্যে বদলে গেল দল। গেরুয়া ছেড়ে সবুজের দলে নাম লেখালেন তিনি। ২১ মার্চ তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে বালিগঞ্জ থেকে মনোনয়ন জমা দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে সোমবার সকালে মনোনয়ন জমা দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সকাল থেকেই তৃণমূল কর্মীদের উৎসাহের সাক্ষী ছিল হাজরা মোড়, গোপালনগর মোড় বা চেতলা হাট। বাবুলের ছবি নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সমর্থকরা।