SBI: এসবিআই কে নির্বাচনী বন্ডের নতুন তালিকা প্রকাশ করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্বাচনী বন্ড প্রকাশে সন্তুষ্ট নন সুপ্রিম কোর্ট ।কারন এসবিআইকে নির্বাচনী বন্ড সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারই পরিপ্রেক্ষিতে…

HIGH COURT

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্বাচনী বন্ড প্রকাশে সন্তুষ্ট নন সুপ্রিম কোর্ট ।কারন এসবিআইকে নির্বাচনী বন্ড সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে এক হলফনামা জমা করে এসবিআই , তাতে জানানো হয় ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২২ হাজার ২১৭টি নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছে। তার মধ্যে থেকে ২২ হাজার ৩০টি বন্ড ভাঙিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর বাকি বন্ডগুলির টাকা জমা পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর কিছু ত্রাণ তহবিলে। এর পরেই বন্ডের যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জমা দিয়ে তা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট ।গতকাল জানা যায়, এসবিআই-এর থেকে পাওয়া নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এসবিআই-কে নোটিশ পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। নোটিশে বলা হয় সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি তাই আবারও ১৮ মার্চের মধ্যে এসবিআই-এর থেকে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এক ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়,নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক। এই আবহে ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য জমা করতে নির্দেশ করা হয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে। এর পরেই আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। অবশেষে এসবিআই-এর সমস্ত আবেদন ১২ মার্চের মধ্যে যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিনের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এর আগে ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম বিধানসভা নির্বাচেনর আগে নির্বাচনী বন্ডের বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে । মামলাকারীদের অভিযোগ করেছিল, রাজনৈতিক দলগুলির অবৈধ এবং বিদেশ থেকে এই বন্ডের মাধ্যমে টাকা পেতে পারে এবং এতে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। এর পরেই আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছিল, নির্বাচনে কালো টাকা রুখতেই নির্বাচনী বন্ডের ব্যবস্থা চালু করা হয়।

২০১৮ সালেও নির্বাচনী বন্ডের স্কিম আনা হয়। তার পর থেকে কোনও বাধা ছাড়াই বন্ড বিক্রি করা হচ্ছিল সমগ্র দেশজুড়ে । এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে সর্বোচ্চ আদালতকে জানানো হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলির হাতে নগদের অভাব থাকায় নির্বাচনী বন্ড বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অপর পক্ষে কমিশন দাবি করে, নির্বাচনী বন্ডে কোন রখম অস্বচ্ছতা নেই। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণার পর জানিয়ে ছিলেন নির্বাচনী বন্ড বিক্রি করে রাজনৈতিক দলগুলি যে ভাবে টাকা তুলছে তা অসাংবিধানিক।