দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা ধরে চলা ম্যারাথন বৈঠক শেষে সমঝোতায় পৌঁছাল রাশিয়া ও ইউক্রেন (Russia Ukraine)। প্যারিসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিবদমান দুই দেশই অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে। প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে বিবাদ মেটাতে ওই বৈঠকে হাজির ছিল জার্মানি।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘনিষ্ঠ এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে তাঁদের যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছে। তবে আশার কথা এই যে, উভয়পক্ষই শেষ পর্যন্ত বৈঠকে বসতে রাজি হয়। সেখানেই দুই দেশই অস্ত্রবিরতি প্রস্তাবে সই করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন দুই দেশই কোন রকম শর্ত ছাড়াই অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে নিয়েছে। দু’দেশের মধ্যে চলতি উত্তেজনা প্রশমনে ফের বৈঠকে বসবে রাশিয়া ও ইউক্রেন। দু’সপ্তাহ পর সেই বৈঠক হবে জার্মানিতে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, প্যারিসে ওই বৈঠকে রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন দিমিত্রি কোজ্যাক। ওই বৈঠকে রাশিয়া ন্যাটো গোষ্ঠী থেকে ইউক্রেনকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত রাশিয়ার ওই দাবি আমেরিকা উড়িয়ে দিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা ঠান্ডা লড়াই গোটা দুনিয়াতেই প্রভাব ফেলে। ন্যাটো বাহিনী, আমেরিকা এবং ইউরোপের একাধিক দেশ রাশিয়াকে ইউক্রেন আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেয়। এমনকী, রাশিয়া-ইউক্রেন আক্রমণ করলে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবার প্রতিশ্রুতি দেয় একাধিক দেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ বা দখলের চেষ্টা করলে মস্কোকে তার তার কড়া মাসুল চোকাতে হবে।
পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে অনুমান করে ইউরোপের একাধিক দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে আনার চেষ্টা চালায়। শেষ পর্যন্ত দুই দেশ একটি সমঝোতায় উপনীত হওয়া স্বস্তির শ্বাস ফেলেছে আন্তর্জাতিক মহল।
