পাক মদতপুষ্ট রোহিঙ্গা জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ARSA’ প্রধানের ডেরার খোঁজ

পাকিস্তানের সামরিক গুপ্তচর সংস্থা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) নিয়ে গুরুত্ব তথ্য পেল বাংলাদেশ সরকার। ARSA সংগঠনটির প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি মায়ানমারের ডেরায় আছে।…

পাকিস্তানের সামরিক গুপ্তচর সংস্থা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) নিয়ে গুরুত্ব তথ্য পেল বাংলাদেশ সরকার। ARSA সংগঠনটির প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি মায়ানমারের ডেরায় আছে। সম্প্রতি ধরা পড়েছে তার ভাই। তাকে জেরা করেই এই তথ্য মিলেছে।

চট্টগ্রাম পুলিশ জানাচ্ছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার পরিকল্পনায় সংঘবদ্ধ হয়েছিল সশস্ত্র সংগঠন আরসা। একটি গ্রুপ। এই গ্রুপের নেতৃত্বে ছিল মহম্মদ শাহ আলী নামের এক আরসা নেতা। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে সংগঠনের প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির ভাই।

আরসা এমন এক জঙ্গি সংগঠন যাদের প্রত্যক্ষ মদত করে আইএসআই। তাদেরই মদতে সংগঠনটি ভারত ও বাংলাদেশ ভিত্তিক নাশকতার জাল ছড়াচ্ছে বলে দুই দেশের গোয়েন্দা বিভাগের দাবি।

গ্রেফতারের পর আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির অবস্থান ও তার পরিকল্পনার কথা পুলিশকে জানিয়েছে তার ভাই শাহ আলী। আতাউল্লাহ এখন মায়ানমারের একটি পাহাড়ে পালিয়ে আছে বলে জানিয়েছে সে। পাহাড়টির নামও জেনেছে পুলিশ। তবে এ বিষয়ে আরও জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই পাহাড়ে বসেই বাংলাদেশ ও মায়ানমারে থাকা আরসা’র বিভিন্ন গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণ করছে আতাউল্লাহ।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মায়ানমারে রোহিঙ্গা গোষ্ঠী আরসার হামলায় ১২ জন বর্মী সেনার মৃত্যু হয়। এর ভিত্তিতে মায়ানমারের ততকালীন সু কি সরকার সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেয় অভিযানের। দেশটির রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযানে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। মায়ানমার সেনার বিরুদ্ধে রোহিণীকুমার গণহত্যার অভিযোগ ঘিরে বিশ্ব তোলপাড় হয়েছে। লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে। তাদের মধ্যেই আরসা ছড়াচ্ছে জঙ্গি তৎপরতা।

বাংলাদেশে আরসা নিজস্ব মুদ্রা চালু করেছে। চট্টগ্রামের কক্সবাজার, উখিয়ায় থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে উদ্বেগে বাংলাদেশ সরকার। তাদের ফেরত নিতে অরাজি মায়ানমারের বর্তমানে সামরিক সরকার।