Bangladesh: হাসিনার দাবি ছিল পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত, বাস্তবে মাত্র ১ মাস! থমকে যাবে বাংলাদেশ

বাংলাদেশে (Bangladesh) জ্বালানি সংকট আরও তীব্র। থমকে যাবে বাংলাদেশ? দেশটির সরকারি তথ্য বলছে, ডিজেল মজুত আছে এক মাসের। আরও কম পেট্রোল। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান…

বাংলাদেশে (Bangladesh) জ্বালানি সংকট আরও তীব্র। থমকে যাবে বাংলাদেশ? দেশটির সরকারি তথ্য বলছে, ডিজেল মজুত আছে এক মাসের। আরও কম পেট্রোল।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ জানিয়েছেন, দেশে আগামী ৩০ দিনের জন্য ডিজেল মজুত আছে। অকটেন ও পেট্রল মজুত আছে ১৮ দিনের।তিনি স্পষ্টতই জ্বালানি সংকটের কথা স্বীকার করে নেন।

আজাদ জানিয়েছেন, প্রায় সব ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে আমদানি ব্যয় মেটাতে হচ্ছে। দাম বাড়ানোর পরও প্রতি লিটার ডিজেলে ৬ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।

এদিকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে বাস সহ অন্যান্য গণপরিবহণের যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের সঙ্গে মতানৈক্য বাড়ছে বাস মালিকদের। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, সিলেট বিভাগের বহু রুটে গণপরিবহণে প্রভাব পড়েছে। কমেছে বাসের সংখ্যা।  যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে। 

জ্বালানি সংকটের কারণে ব্যাপক হারে বিদ্যুত পরিষেবা ঘাটতি হচ্ছে। চলছে নিয়ম করে লোডশেডিং। আর জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির জেরে জনতার ক্ষোভ তুঙ্গে।

সাম্প্রতিক শ্রীলংকার আর্থিক সংকট ও সে দেশ জুড়ে প্রবল গণবিক্ষোভের পরিস্থিতি টেনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিচার চলছে। তবে বাংলাদেশ সরকার আগেই জানায় শ্রীলংকার মত সংকট নেই। দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে এক ধরণের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

বিবিসি জানাচ্ছে,  বাংলাদেশে চাহিদার চেয়ে বেশি পেট্রোল ও অকটেনের মজুদ রয়েছে এমন বার্তা গত জুলাই মাসের শেষে দিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তাঁর ঘোষণার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্যান্য জ্বালানি তেলের পাশাপাশি অকটেন ও পেট্রোলের দাম বাড়ানো হয়।

sekha hasina

এই মন্তব্য ধরে হাসিনার সমালোচনা তীব্র। এর মধ্যে এসেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের বার্তা-মাত্র এক মাসের জ্বালানি মজুত।