পাকিস্তানের (Pakistan) বর্তমান সরকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী। পাক সেনা (Pakistan Army) কর্মকর্তাদের বৈঠক থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইমরান খানের সরকারের পতনের পর অভিযোগ ছিল সেনা বাহিনী সবকিছুর পিছনে কলকাঠি নাড়ছে। পাক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনাবাহিনীর বিরূপ সমালোচনা তুঙ্গে ওঠে। এর পর সেনা জানায়, তারা দেশের সংবিধানের প্রতি আস্থাশীল।
পাক সেনা আন্তবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআর বিবৃতিতে দিয়ে জানায়, গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডার, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং সব ফরমেশন কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন চিফ অব স্টাফ (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া।
সেই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের নোটে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অপমান করতে এবং রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠান ও সমাজের মধ্যে বিভাজন তৈরির উদ্দেশে কিছু মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি ফোরামে আলোচনায় এসেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পবিত্র। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সর্বদা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং পাহারায় সব সময়ই থাকবে। এ ক্ষেত্রে কোনো আপস করবে না। যে কোনও মূল্যে সংবিধান ও আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখতে নেতৃত্বের সুবিবেচিত অবস্থানের প্রতি পূর্ণ আস্থা জানানো হবে।
পাকিস্তান সামরিক বাহিনী সম্প্রতি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিশেষ করে ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সমালোচনা তীব্র হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী এবং এর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার চলছে।
গত রবিবার ইমরান খানের সমর্থনে দেশব্যাপী বিক্ষোভের সময়ও সেনাবাহিনীর সমালোচনামূলক স্লোগানও উচ্চারিত হয়। এরপর ইমরান খানের পতন হয়।